সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

রোগীর ভিড়ে বেসামাল অবস্থা স্বজন নিয়ন্ত্রণ আরেক চ্যালেঞ্জ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে অনুমোদিত শয্যার তিনগুণ বেশি রোগী ভর্তি থাকছে। এর সঙ্গে যোগ হয় রোগীর স্বজন। প্রতিনিয়তই হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার অনেক বেশি মানুষ ভিড় করেন। এ অবস্থায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে রোগী সেবার সঙ্গে তাদের স্বজনদের নিয়ন্ত্রণ করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫৭ সালে যাত্রা করা এ হাসপাতালে  বর্তমানে ৪৫টি ওয়ার্ড, ৪৮টি বিভাগ এবং ১৫টি বহির্বিভাগ আছে। হাসপাতালে বর্তমানে অনুমোদিত শয্যা সংখ্যা এক হাজার ৩৪৮টি। প্রতিনিয়তই এখানে ভর্তি থাকে দুই হাজার ৫০০ থেকে ৮০০রোগী। ভর্তিকৃত প্রতিটি রোগীর সঙ্গে থাকেন দুই থেকে তিনজন করে স্বজন। তাছাড়া প্রায় ১৫টি বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে রোগী দেখা হয় ২৫০ জন করে। এ বিভাগেও প্রতি রোগীর সঙ্গে থাকেন এক থেকে দুজন করে। ফলে প্রতিদিন হাসপাতালে রোগী-স্বজন মিলে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ অবস্থান করেন। আবার এরসঙ্গে থাকে নানা প্রকারের যানবাহন। তাছাড়া সবার ব্যবহৃত উচ্ছিষ্টসহ নানান বর্জ্যও থাকে। ফলে নোংরা হয় হাসপাতালের পরিবেশ। চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম বলেন, ‘চমেক হাসপাতালে শয্যা সংখ্যার তুলনায় তিনগুণ বেশি রোগী হয়। রোগীর সঙ্গে স্বজন, বহির্বিভাগের রোগী এবং রোগীর স্বজন- সব মিলে এই হাসপাতালে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আসেন। একজন রোগীর সঙ্গে একজন স্বজনই যথেষ্ট। কিন্তু অবস্থান করছেন বেশিজন। এ ক্ষেত্রে নানা প্রক্রিয়া হাতে নিয়েও স্বজনদের ঠেকানো যাচ্ছে না। তাই এখন রোগী সেবার সঙ্গে সঙ্গে স্বজনদের নিয়ন্ত্রণ করা একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের প্রধান ডা. মোহাম্মদ রফিকুল মাওলা বলেন, ‘উন্নত বিশ্বে একজন রোগীর সঙ্গে একজন স্বজন থাকেন, এটিই নিয়ম। কিন্তু আমাদের দেশে একজন রোগীর সঙ্গে একাধিক স্বজন আসার প্রবণতা বেশি। এটি কোনো মতেই উচিত নয়। এর মাধ্যমে রোগীর সেবা দিতে আসা স্বজনেরও নানা ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মানুষের অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে রোগীর সঙ্গে থাকা স্বজনও অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিষয়টি অুীব গুরুত্বপূর্ণ হলেও অনেকেই বোঝেন না।’ গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগ, নিউরো সার্জারি বিভাগ, নিউরো মেডিসিন, অর্থোপেডিক এবং শিশু বিভাগে গিয়ে দেখা গেছে, ওয়ার্ডের সামনে অনেক স্বজন ভিড় করেছেন। অনেকেই ওয়ার্ডে প্রবেশ করতে গেলে নিরাপত্তা প্রহরীর সঙ্গে বাকবিতন্ডা হচ্ছে। এ নিয়ে অনেক সময় মারামারির ঘটনাও ঘটছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর