সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

‘আন্দোলনের ডাক দেন রাস্তায় গিয়ে মরি’

বিএনপি তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

‘খালেদা জিয়া কবে মুক্তি পাবেন? কী করছেন আপনারা? আন্দোলনে যাচ্ছেন না কেন?’। ‘না খেয়ে পালিয়ে থাকতে থাকতে তো এমনিতেই মরতে বসেছি। আন্দোলনের ডাক দেন, রাস্তায় গিয়ে মরি’। ‘আন্দোলনে আমরা তো ব্যর্থ হইনি, আপনারা ব্যর্থ হয়েছেন’। গতকাল সকালে সদর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নে হামলার শিকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি পরিদর্শনে গেলে কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশে ক্ষোভমিশ্রিত এসব কথা বলেন তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের দুই দিন আগে এসব তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ড. ওবায়দুল ইসলাম দলের জেলা পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে প্রথমে যান সদর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে। সেখানে কচুয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সাবেক ইউপি সদস্য আমির হোসেনের বাড়িতে তারা কিছু সময় অতিবাহিত করেন ও বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় পার্শ্ববর্তী নরেন্দ্রপুর, রামনগর, বসুন্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত হন। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে পেয়ে তৃণমূলের এসব নেতারা তাদের কষ্টের কথা বলতে থাকেন। কথা বলেন নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওলিয়ার রহমান, একই ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবদুল মজিদ, রামনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন প্রমুখ। ২৮ ডিসেম্বর রাতে হামলার ঘটনা বর্ণনা করার সময় বিএনপি নেতা আমির হোসেনের দুই ভাইয়ের স্ত্রী লিলিপা ইয়াসমিন ও পাপিয়া আক্তার বলেন, ‘আমাদের গ্রামের মহিলারা কোনোদিন গুলির শব্দ শুনিনি। ২৮ ডিসেম্বর রাতেই প্রথম শুনেছি। হামলা, ভাঙচুর, নির্যাতন অনেক সহ্য করছি। আমাদের শুধু বলেন, আমাদের মা কবে মুক্তি পাবে’।

এখান থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা একই গ্রামের বিএনপি নেতা আবদুর রাজ্জাক খানের বাড়ি ও পরে লেবুতলা ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের দাউদ হোসেনের বাড়িতে যান। এ দুই নেতার বাড়িতে ভাঙচুরের স্থানগুলো পরিদর্শন ও বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘তৃণমূল নেতা-কর্মীরা আবেগ থেকে অনেককিছুই বলেছেন। এসবের কোনোটাই মূল্যহীন না। তবে কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেককিছু চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়’। তিনি বলেন, ‘তারপরও তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের কথাগুলো, ভাবনাগুলো কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতাদের অবহিত করব’।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর