আসামি না হয়েও দুদকের মামলায় পাটকলকর্মী জাহালমের তিন বছর জেল খাটার ঘটনায় দুদক শিগগিরই সিরিয়াস পদক্ষেপ নেবে বলে মনে করছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সচিবালয়ে গতকাল জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি একথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, জাহালমের ব্যাপারে যা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি তীব্র ভাষায় এর নিন্দা করি। আসামি না হয়েও সোনালী ব্যাংকের অর্থ জালিয়াতির ঘটনায় দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিন বছর জেল খেটে হাই কোর্টের আদেশে জাহালম গত ৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পান। সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে আবু সালেক নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা করে দুদক। দুদকের ভুলে সালেকের বদলে কারাগারে তিন বছর কাটাতে হয় জাহালমকে। সাংবাদিকদের প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি যে, দুর্নীতি দমন কমিশন এ রকম একটা ঘটনার ব্যাপারে অবহিত হয়েছে, তারা এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে। জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার নিয়ে আমাদের অভিমত ও কমিটমেন্ট ব্যক্ত করেছি। আমি বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার বিশ্বাস করে, বাংলাদেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য এবং এটা সরকার সব সময় করে যাচ্ছে। যার কারণে আজকে মানবাধিকার পরিস্থিতি অনেক উন্নত। যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে, তাদের ব্যাপারে এই সরকারের অবস্থান পরিষ্কার, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। জাতিসংঘের যতগুলো সংস্থা রয়েছে সেগুলো এক প্লাটফর্মে থেকে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চায় বলেও জানান মন্ত্রী। আইনমন্ত্রী বলেন, যেসব আইন হলে ভালো হয়, যেসব আইনের ব্যাপারে তাদের কিছু বক্তব্য আছে, সেসব নিয়ে তারা কথা বলেছেন।
অ্যাভিডেন্স অ্যাক্ট, অ্যান্টি ডিসক্রিমিনেশন অ্যাক্ট- এগুলো কবে হবে, এগুলোর ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নিয়েছি তা জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি, অ্যাভিডেন্স অ্যাক্ট নিয়ে আমরা কাজ করছি, অ্যান্টি ডিসক্রিমিনেশন অ্যাক্টের ব্যাপারে আগামী মাসে সভা করব, বিশ্বে এ ধরনের আইনের মধ্যে কী আছে জানার চেষ্টা করব। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়েও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমি স্পষ্টভাবে সরকারের অবস্থান ব্যক্ত করেছি।
