শনিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

অপহরণের অভিযোগে দুই এএসআই গ্রেফতার

গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে তিন কলেজছাত্র অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই এএসআইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বিকালে গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার এ তথ্য জানান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন গাজীপুর কালিয়াকৈর থানার এএসআই আবদুল্লাহ আল মামুন এবং টাঙ্গাইল মির্জাপুর থানার এএসআই  মুসফিকুর রহমান। পুলিশ সুপার জানান, অপরাধী যেই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আটককৃত দুই এএসআইয়ের বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৩৪২, ৩৬৫, ৩৮৫, ৩৮৭ এবং ১৭০-তে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অজ্ঞাত আরও ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। অপহরণকারী দুই পুলিশ সদস্যের অপকর্মের দায়ভার পুলিশ বাহিনী নেবে না। আটককৃত আসামিদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এদিকে অপহরণের পর মুক্তি পাওয়া কালিয়াকৈরের রায়হান সরকার, লাবীব হোসেন ও শ্রীপুরের নওশাদ ইসলাম জানান, গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তারা পাঁচ বন্ধু মিলে রাজধানীর বাণিজ্য মেলার উদ্দেশ একটি প্রাইভেটকারযোগে রওনা দেন। পথে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর উপজেলার সূত্রাপুর এলাকায় শিলা-বৃষ্টি ফিলিং স্টেশনে গাড়িতে গ্যাস নিতে তারা যাত্রাবিরতি দেন। তখন গাড়ি থেকে নেমে  তৈবুল্লাহ ও রাকিবুল রহমান ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন চায়ের দোকানে যান। এ সময় স্টেশনটিতে দুটি গাড়ি নিয়ে সাদা পোশাকে হাজির হন এএসআই আবদুল্লাহ আল মামুন এবং মুসফিকুর রহমানসহ অজ্ঞাত আরও ৮/৯ জন। পরে ওই দুই এএসআইয়ের সহযোগিতায় কয়েকজন তাদের একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে টাঙ্গাইলের দিকে রওনা দেন। পথিমধ্যে অপহৃতরা জানান, তাদের দুই বন্ধু ফিলিং স্টেশনে রয়ে গেছে। পরে অপহৃতদের টাঙ্গাইল মির্জাপুরের দেওড়া এলাকায় নির্মাণাধীন একটি সেতুর নিচে নেওয়া হয়। সেখানে অপহৃতদের কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন ওই দুই এএসআই, অন্যথায় তাদের ক্রসফায়ারের হুমকি দেওয়া হয়। পরে এক পর্যায়ে দেন দরবার করে মুক্তিপণ কমিয়ে ১০ লাখ টাকা ধার্য করেন অপহরণকারীরা।

সর্বশেষ খবর