বৃহস্পতিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

ধূমপানের বিরুদ্ধে চাই জোরদার সামাজিক আন্দোলন : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ধূমপানের বিরুদ্ধে জোরদার সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে জনগণকে ধূমপানের কুফল সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে। তথ্যমন্ত্রী গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে অগ্রগতি, বাধা ও করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দিচ্ছিলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রজ্ঞার সমন্বয়ক হাসান শাহরিয়ার। বেসরকারি সংস্থা ‘প্রজ্ঞা’ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন। বক্তৃতা করেন স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ, ড. মাহফুজ কবীর প্রমুখ। ১৯১৭ সালের গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভের (গ্যাটস) ২০১৭ সমীক্ষার আলোকে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। সমীক্ষায় দেখা যায় ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাকের ব্যবহার ২০০৯ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে ১৮.৫% হ্রাস পেয়েছে। এই অগ্রগতি প্রশংসনীয় তবে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ অর্জনের জন্য যথেষ্ট নয়। দেশে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী বিশেষত দরিদ্র এবং হতদরিদ্র জনগণের মধ্যে তামাক ব্যবহারের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। নারীদের মধ্যে ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারের উচ্চহার পরিলক্ষিত হয়েছে।

এ ছাড়া সার্বিকভাবে শহরের তুলনায় গ্রামে তামাক ব্যবহারের হার অনেক বেশি। তামাকপণ্যের সহজলভ্যতা, আইনি দুর্বলতা এবং আইনের দুর্বল বাস্তবায়ন তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের পথে প্রধান অন্তরায়। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তার ভাষণে বলেন, বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে অনেক আইন রয়েছে। কিন্তু সে আইনের যথাযথ প্রয়োগ হয় না। তবে গত এক দশকে বাংলাদেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমেছে। শুধু ধূমপানবিরোধী ক্যাম্পেইন নয়, সামাজিক  যোগাযোগ মাধ্যমেও এর ক্ষতিকারক দিকের প্রচারণা চালাতে হবে। মন্ত্রী বলেন, শুধু মেধাবী মানুষ দিয়ে উন্নত দেশ গঠন করা যায় না। একইসঙ্গে মানুষের মধ্যে থাকতে হবে দেশাত্মবোধ ও মমত্মবোধ। এগুলো থাকলেই উন্নত জাতি গঠন সম্ভব। তথ্যমন্ত্রীর মতে যারা ধূমপান করেন না, তাদের পুরস্কৃত করা উচিত।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর