সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

সভা-সেমিনারে মেয়র প্রার্থী কাউন্সিলররা বাড়ি বাড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে ভিন্ন পন্থায় প্রচারণা চালাচ্ছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। স্বল্প সময়ে বৃহৎ এলাকায় গণসংযোগ করতে বিভিন্ন পেশাজীবী, ব্যবসায়ী ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে সভা, সেমিনার ও মতবিনিময়ের আয়োজন করছেন মেয়র প্রার্থীরা। ঘুরছেন শপিং মল, কাঁচাবাজারের মতো জনবহুল এলাকাগুলোয়। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। অন্যদিকে ওয়ার্ডভিত্তিক ছোট নির্বাচনী এলাকা হওয়ায় ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা। রাস্তাঘাট সংস্কারসহ মাদকমুক্ত আদর্শ ওয়ার্ড গড়ার আশ্বাস দিচ্ছেন। জানাচ্ছেন ওয়ার্ড নিয়ে নিজের স্বপ্নের কথা। নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রতীক বরাদ্দের পর গত ১১ ফেব্রুয়ারি দুটি মাজার জিয়ারত করার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন নৌকার প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। ওই দিনই তিনি মিরপুর শাহআলী মাজার এলাকা, বালিকা বিদ্যালয় শপিং কমপ্লেক্স, শাহআলী মার্কেট কাঁচাবাজার এবং ডিএনসিসি সুপার মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে দোয়া ও ভোট চান। প্রতিদিনই দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে একাধিক এলাকায় গণসংযোগ করছেন তিনি। গতকাল তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ ও ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগের নেতাদের সঙ্গে পৃথক মতবিনিময় করেন। এ ছাড়া মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে গিয়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসব প্রচার অনুষ্ঠানে আতিকুল ইসলাম সবাইকে নিয়ে সচল ঢাকা গড়ার পরিকল্পনা তুলে ধরেন। দখল-দূষণমুক্ত নিরাপদ ঢাকা গড়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নগরবাসীর যে কোনো সমস্যা সমাধানে ‘নগর অ্যাপস’ চালুর প্রতিশ্রুতি দেন। আতিকুল ইসলামের সঙ্গে এসব মতবিনিময় সভায় সরকারদলীয় এমপি, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বৃষ্টিতে উধাও পোস্টার রইল শুধুই রশি : এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপনির্বাচন আর দুই সিটির সম্প্রসারিত ওয়ার্ডগুলোর সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচনী প্রচারণা সবেমাত্র জমতে শুরু করেছে। গতকাল ভোররাতে কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে রশি দিয়ে ঝোলানো প্রার্থীদের হাজার হাজার পোস্টার উধাও হয়ে গেছে। থেকে গেছে শুধুই রশি। কাপড় দিয়ে বানানো অনেকের অস্থায়ী নির্বাচনী অফিসও বাতাসে ভেঙে গেছে।

সকালে উত্তর ও দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। উত্তর সিটি করপোরেশনের মেরুল, বেরাইদ, সাঁতালকুল, ডুমনি, গুলশান, বাড্ডা, বারিধারা, ভাটারা এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল, সারুলিয়া ও ডেমরা এলাকায় দেখা গেছে, মাথার উপরে ঝুলছে শুধুই রশি, নেই কোন পোস্টার। বৃষ্টির পানিতে ভিজে রশি দিয়ে ঝোলানো পোস্টারগুলো মাটিতে পড়ে আছে। কিছু পোস্টার টিকে থাকলেও বোঝা যাচ্ছে না প্রার্থীর নাম বা প্রতীক। অথচ একদিন আগেও এসব এলাকার অলি-গলি ছিল প্রার্থীদের পোস্টারে ঢাকা। বেরাইদে কয়েকজন প্রার্থীর ভেঙে যাওয়া নির্বাচনী অফিসও মেরামত করতে দেখা গেছে।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পরে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত সবাই প্রচার চালাতে পারবেন। মেয়র প্রার্থীদের পোস্টার-ব্যানার খুব একটা দেখা না গেলেও নতুন ওয়ার্ডগুলোর অলি-গলি ছেয়ে গিয়েছিল পোস্টার-ব্যানারে। কিন্তু গতকাল সকালে শুধু ব্যানার আর পোস্টারবিহীন রশিগুলো ঝুলতে দেখা গেছে।

এদিকে ভাটারা এলাকায় কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মীদেরকে দুপুরের পরপরই নতুন পোস্টার নির্বাচনী অফিসে এনে জড়ো করতে দেখা গেছে। ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের এক প্রার্থীর কর্মীরা জানান, নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রগুলোয় লাগানোর জন্য পোস্টার রাখা ছিল। সেগুলো এখন লাগানো হচ্ছে। নতুন পোস্টার ছাপাতে দেওয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর