রবিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

দৃষ্টি সমস্যায় ৭০ ভাগ চালক

মানবিক সাহায্য সংস্থার জরিপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাস, মিনিবাস, ট্রাক এবং লরি চালকদের মধ্যে ৭০ শতাংশ দৃষ্টিজনিত সমস্যায় ভুগছেন। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ চালক গাড়ি চালানোর সময় রোড সাইন পড়ার সমস্যার বিষয়ে জানিয়েছেন। গতকাল মানবিক সাহায্য সংস্থা গণপরিবহন চালকদের ওপর পরিচালিত জরিপে এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে।

মানবিক সাহায্য সংস্থার আই কেয়ার প্রজেক্ট পরিচালিত জরিপের ফলাফলে বলা হয়, রাজধানীর আটটি বাস টার্মিনালের ৫০০ জন গণপরিবহন চালকের ওপর এ জরিপ চালানো হয়েছে। এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত এ গবেষণা পরিচালিত হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়। সাক্ষাৎকার প্রদানকারী ৫০০ চালকের মধ্যে ২০২ জন (৪০ দশমিক ৪ শতাংশ) বাসচালক, ৪৭ জন (৯ দশমিক ৪ শতাংশ) মিনিবাস চালক, ১২০ জন (২৪ শতাংশ) লরিচালক এবং ১৩১ জন (২৬ দশমিক ২ শতাংশ) ট্রাকচালক ছিলেন। এর মধ্যে ৪৩৭ জন (৮৭ দশমিক ৪ শতাংশ) আন্তঃজেলা রুটের চালক এবং ৬৩ জন (১২ দশমিক ৬ শতাংশ) মহানগর রুটের চালক। সাক্ষাৎকার প্রদানকারী ৩৫২ জন (৭০ দশমিক ৪ শতাংশ) চালক দৃষ্টিজনিত সমস্যায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন। ‘গণপরিবহন চালকদের চোখের স্বাস্থ্যের অবস্থা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মানবিক সাহায্য সংস্থার প্রেসিডেন্ট ফিরোজ হাসান, উপদেষ্টা তারিকুল গণি এবং সহকারী পরিচালক স্বপ্না রেজা।

ফিরোজ হাসান বলেন, চালকদের এই দৃষ্টিজনিত সমস্যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকখানি বাড়িয়ে দেয়। এ জরিপের আলোকে আজ থেকে আমরা একটি পাইলট প্রজেক্ট শুরু করতে যাচ্ছি। সকাল ১০টা থেকে তেজগাঁও এবং সায়েদাবাদ টার্মিনালের বাস, ট্রাক চালক ও হেলপারদের চক্ষুসেবা দিতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করা হবে। আই কেয়ার প্রজেক্টে আমাদের সহযোগিতা করছে আল-বাশার ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতাল। এই সেবা নিতে আগ্রহী চালক এবং সহকারীদের শ্রমিক ইউনিয়নের পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। প্রতিষ্ঠানটির উপদেষ্টা তারিকুল গণি বলেন, আমরা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে   আলোচনা করে এই পাইলট প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি। আস্তে আস্তে অন্য বাস টার্মিনালগুলোতেও সেবা দেওয়ার চেষ্টা করব। এসময় স্বপ্না রেজা বলেন, চালকের চোখের ত্রুটির কারণে যেন আর কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। অনেক চালক তাদের চোখে যে সমস্যা রয়েছে তা-ই জানেন না।

জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫০০ জন চালকের মধ্যে ৪৬১ জন অর্থাৎ ৯২ দশমিক ২ শতাংশ চালক ডাক্তারের মাধ্যমে পরীক্ষা করাতে চায়। তবে ৩৯ জন অর্থাৎ ৭ দশমিক ৮ শতাংশ চালক ডাক্তারের কাছে চোখের চিকিৎসা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

 

সর্বশেষ খবর