বুধবার, ৬ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

মহাসংকটে খুলনার পাটকল

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

মহাসংকটে খুলনার পাটকল

আর্থিক সংকটে কাঁচাপাট কিনতে না পারায় খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোতে উৎপাদনে ধস নেমেছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় প্রায় ২৯০ কোটি টাকার পাটপণ্য অবিক্রীত পড়ে আছে। একই সময় বকেয়া মজুরি পরিশোধসহ ৯ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে শ্রমিকরা।

খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোতে এ অবস্থার মধ্যে আজ দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে ‘জাতীয় পাট দিবস’। দিবসটি পালন উপলক্ষে খুলনায় বর্ণাঢ্য র‌্যালি, আলোকসজ্জা ও জেলা প্রশাসকের সম্মেলকক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে খুলনার ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, দৌলতপুর, খালিশপুর, স্টার, ইস্টার্ন, আলিম এবং যশোরের জেজেআই ও কার্পেটিং জুট মিলে কাঁচাপাট ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯৬ কুইন্টাল। গতকাল পর্যন্ত কাঁচাপাট কেনা হয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৯৪৬ কুইন্টাল, যা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২৫ ভাগ। এর মধ্যে স্টার জুট মিলে কাঁচাপাট মজুদ আছে মাত্র ৭ দিনের। ইষ্টার্ন মিলে কাঁচাপাট রয়েছে ১১ দিনের। কাঁচাপাটের অভাবে বর্তমানে ৩ হাজার ৬৫০টি তাঁতের মধ্যে ১ হাজার ৯১৪টি বন্ধ রয়েছে। খুলনার ক্রিসেন্ট জুট মিলের মহাব্যবস্থাপক গাজী শাহাদাৎ হোসেন  বলেন, টাকার অভাবে কাঁচাপাট কিনতে না পারায় মিলের উৎপাদন বন্ধের উপক্রম হয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে স্যাকিং পণ্যের চাহিদা কমে গেছে। একদিকে কাঁচাপাটের অভাব, অন্যদিকে উৎপাদিত পণ্য সময়মতো বিক্রি করতে না পারায় আর্থিক সংকট তীব্র হয়েছে। পাশাপাশি গত ৪ মার্চ থেকে বকেয়া মজুরি পরিশোধসহ ৯ দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে পাটকল শ্রমিকরা। ক্রিসেন্ট জুট মিলের সিবিএ’র সম্পাদক মো. সোহরাব হোসেন বলেন, শ্রমিকদের ৬ সপ্তাহের মজুরি ও কর্মচারীদের দুই মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। মজুরি কমিশন, গ্রাইচ্যুইটি, পিএফ’র টাকা ও বদলি শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলন করলেও তা’ বাস্তবায়িত হয়নি। এ কারণে বাধ্য হয়ে আবারও আন্দোলনে নেমেছে শ্রমিকরা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর