শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে চেয়ারম্যান পদে ব্যবসায়ীই বেশি

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে চেয়ারম্যান পদে ব্যবসায়ীই বেশি

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে বেশির ভাগ প্রার্থীই হচ্ছেন ব্যবসায়ী। চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় ২৫ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এসব প্রার্থীর মধ্যে ২০ জনই পেশায় ব্যবসায়ী। বাকিদের মধ্যে একজন আইনজীবী সহকারী, একজন চাকরিজীবী, একজন কৃষিকাজ, একজন গৃহস্থী ও আরেকজনের পেশা উল্লেখ করেননি। এতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া ১৩ প্রার্থীর মধ্যে ১১ জনই ব্যবসায়ী। প্রার্থীরা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায় বিভিন্ন যোগ্যতার সঙ্গে পেশাগতভাবে কে কি করছেন সে বিষয়গুলো উল্লেখ করেছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ২৫ প্রার্থীর মধ্যে এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন সাতজন উপজেলা চেয়ারম্যান। চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কয়েকটি উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হচ্ছে না এবং আরও কয়েকটি উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদেও একই রকম। তবে হলফনামায় প্রার্থীরা যেসব তথ্য দিয়েছেন সেগুলো প্রচার করেছি। তাছাড়া প্রার্থীদের হলফনামা যাচাই-বাছাই করেই প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। নির্বাচন অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, চট্টগ্রামের পটিয়ায় তিনজন প্রার্থীর মধ্যে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগ প্রার্থী হচ্ছেন মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি পেশাগতভাবে ব্যবসায়ী। একই উপজেলায় দোয়াত-কলম প্রতীকের অপর প্রার্থী মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেনও একজন ব্যবসায়ী। ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরী পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনি ফ্রেন্ডস এবং ফ্রেন্ডস কোম্পানির একটি মেশিনারিজ পার্টস প্রতিষ্ঠানের আমদানিকারক। এখানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম আবু তৈয়বও ব্যবসায়ী। তিনি বিডিএনভি ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। বাঁশখালীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চৌধুরী মুহাম্মদ গালিব সাদলী পেশাগতভাবে ব্যবসায়ী। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী খোরশেদ আলম চৌধুরী পেশাগতভাবে সওজের ঠিকাদার এবং কেএস এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। বোয়ালখালীতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. নুরুল আলম একটি ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আবদুল কাদের, সৈয়দুল আলম, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. দিদারুল আলম ফজু পেশাগতভাবে তিনজনই ব্যবসায়ী। লোহাগাড়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী খোরশেদ আলম চৌধুরী। তিনি পেশাগতভাবে মেসার্স কেএ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে ঠিকাদারি ও সরবরাহকারী কাজে যুক্ত। অপর প্রার্থী এস এম ছলিম উদ্দিন খোকন চৌধুরী মেসার্স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কমিশন এজেন্ট। এলডিপি নেতা জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল মেসার্স হক এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। চন্দনাইশে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ কে এম নাজিম উদ্দিন পেশায় ব্যবসায়ী। একই উপজেলায় প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল জব্বার চৌধুরী জেকে শার্ট অ্যান্ড ফেব্রিক লি. ও এজেসি এগ্রো অ্যান্ড পোলট্রি লিমিটেড নামে দুইটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। অন্যদিকে বিনাভোটে নির্বাচিত হতে যাওয়া চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের মধ্যে হাটহাজারীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এস এম রাশেদুল আলম পেশায় একজন ব্যবসায়ী। সীতাকুন্ডে  আওয়ামী লীগের প্রার্থী এস এম আল মামুনের শিপ ব্রেকিং, ডিপ সি ফিশিং ও ট্রেডিং ব্যবসা রয়েছে। রাউজানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল পেশাগতভাবে একজন ব্যবসায়ী। তিনি মেসার্স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজের মালিক এবং প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ও সরবরাহকারী। মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. জসীম উদ্দিন একজন ব্যবসায়ী। তিনি মেসার্স প্রমি এন্টারপ্রাইজসহ কয়েকটি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আছেন। আনোয়ারায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী তৌহিদুল হক চৌধুরী পেশাগতভাবে একজন ব্যবসায়ী। জানা যায়, আনোয়ারা, মিরসরাই, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, সন্দ্বীপ, সীতাকু  ও হাটহাজারীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনাভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি উপজেলাগুলোর মধ্যে চন্দনাইশে দুইজন, পটিয়ায় তিনজন, ফটিকছড়িতে তিনজন, বাঁশখালীতে তিনজন, বোয়ালখালীতে চারজন ও লোহাগাড়ায় তিনজন প্রার্থী নির্বাচন করছেন।

সর্বশেষ খবর