শিরোনাম
বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা
বইয়ে ইতিহাস বিকৃতি

নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস গ্রন্থে ইতিহাস বিকৃতির ঘটনায় ওই গ্রন্থের সম্পাদক শুভঙ্কর সাহা হাই কোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। গতকাল বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে হাজির হয়ে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে আদালতে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেছে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন হাই কোর্টের সাবেক বিচারপতি ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। শুনানির শুরুতেই আদালত শুভঙ্কর সাহার কাছে জানতে চান বইয়ে ইতিহাস বিকৃতি কীভাবে ঘটল? তখন শুভঙ্কর সাহা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস বই প্রকাশে একটি টিম দায়িত্বে ছিলেন। বইয়ে বঙ্গবন্ধুর অবদান, ৭ মার্চের ভাষণ, স্বাধীনতার ঘোষণা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা সব বিষয় অন্তর্ভুক্ত আছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক রিলেটেড বঙ্গবন্ধুর কোনো ছবি না পাওয়ায় বইয়ে  ছবি দেওয়া হয়নি।

 এ জন্য আমি আদালতের কাছে পুরো টিমের পক্ষে ক্ষমা চাচ্ছি। আদালত বলেন, আইয়ুব খান, মোনায়েম খানকে বইতে হাইলাইট করলেন অথচ বঙ্গবন্ধুর একটা ছবিও পেলেন না? শুভঙ্কর সাহা বলেন, বইতে আইয়ুব খানকে স্বৈরাচার হিসেবেই অ্যাখ্যায়িত করা হয়েছে। তিনি এ সময় দুঃখ প্রকাশ করে আবারও নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

তখন আদালতে রিটকারী আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন বলেন, ক্ষমা চেয়ে ইতিহাস বিকৃতির দায় থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। জাতির ক্ষমা করতে হবে। পরে আদালত বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস গ্রন্থের পুরাতন সংখ্যাগুলো কী পর্যায়ে রয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন এফিডেভিট আকারে আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলেন।

এরে আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ইতিহাস বিকৃতির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস গ্রন্থের পুরাতন সব সংখ্যা বাজার থেকে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। একই সঙ্গে ওই গ্রন্থের সম্পাদক শুভঙ্কর সাহাকে তলব করে। তার আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি অন্তর্ভুক্ত না করায় ইতিহাস বিকৃতি হয়েছে’ বলে প্রতিবেদন দাখিল করেছিল হাই কোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি।

সর্বশেষ খবর