বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

টার্গেট কিলিংয়ের শিকার সিজান!

নিজস্ব প্রতিবেদক

টার্গেট কিলিংয়ের শিকার সিজান!

চকবাজার এলাকার সিজান ওরফে বক্সারের (১৫) সঙ্গে পূর্ব বিরোধ থাকলেও টার্গেট কিলিংয়ের জন্য কিছুদিনের জন্য ভালো বন্ধু হয়ে উঠে ইমন (১৯)। সিজানও ভুলে যায় ইমনের সঙ্গে তার অতীতের সব বিরোধের বিষয়। একপর্যায়ে ঠা া মাথায় ৭ মার্চ রাতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় সিজানকে। থানা পুলিশ প্রথমে ছিনতাইয়ের কারণে খুন বললেও পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) ঢাকা মেট্রো-উত্তরের ছায়া তদন্তে উন্মোচিত হয় হত্যারহস্যের। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাত ১১টার দিকে কক্সবাজার থেকে ইমন এবং তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বংশাল এলাকা থেকে গতকাল মো. মুন্না মিয়াকে (১৮)  গ্রেফতারের পর উদঘাটন করে হত্যারহস্যের। পিবিআই বলছে, পুরান ঢাকার বংশাল, নাজিরাবাজার, সুরিটোলা, চানখাঁরপুল, বাবুবাজার, মালিটোলা এলাকায় পাঁচটি কিশোর গ্রুপ সক্রিয়। চকবাজার এলাকার সিজান নাজিরাবাজার এলাকায় গ্রিল ওয়ার্কশপ কর্মচারী হিসেবে কাজ করলেও একটি গ্রুপের প্রধান ছিল সে। দেড় মাস আগে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ইমন গ্রুপের সঙ্গে বিরোধ হয় সিজানের। কিছুদিন পর সিজানের লোকজন ইমন গ্রুপের এক সদস্যকে মারধর করে। যদিও এর কয়েকদিন পর দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধের মীমাংসা হয়ে যায়। ভালো বন্ধু হয়ে উঠে ইমন এবং সিজান। ৭ মার্চ রাত পৌনে ১১টার দিকে কাজ শেষ করে নিজের বাসায় আসে সিজান।

রাতের খাবার খাওয়ার পর মোবাইলে কল আসার পর বাইরে যায় সে। বকশীবাজার রোডে (ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দক্ষিণ পাশে) পাকা রাস্তার ওপর কয়েকজন লোক সিজানকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত দুইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সিজান। পরে সিজানের বাবা মুকুল মিয়া অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে চকবাজার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

পিবিআইর বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সিজানের সঙ্গে ইমনের কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সিজান গ্রুপের লোকজন ইমন গ্রুপের একজনকে ছুরিকাঘাত করে আহত করে। তখন থেকেই ইমন, মুন্নাসহ আরও কয়েকজন সিজানকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরই অংশ হিসেবে সব ভুলে যাওয়ার কথা বলে সিজানের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ইমন ও তার সহযোগীরা। এরপরই সিজানকে ডেকে হত্যা করে তারা।

সর্বশেষ খবর