বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

সরকারি ওষুধ কালোবাজারে

নড়েচড়ে বসেছে খুলনা প্রশাসন

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনায় সরকারি হাসপাতালের ওষুধ দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি হচ্ছে কালোবাজারে। এর সঙ্গে সরকারি হাসপাতালের অসাধু কর্মচারীরা জড়িত বলেও অভিযোগ রয়েছে। গত কয়েক দিনের অভিযানে বিপুল পরিমাণ সরকারি ওষুধ ও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল উদ্ধারের পর নড়েচড়ে বসেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, খুলনা মহানগরীর ওষুধের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার  হেরাজ মার্কেট। মার্কেটের বেলী ড্রাগস হাউস নামের দোকান থেকে সরকারি হাসপাতালের ওষুধ কিনে নিজের ফার্মেসিতে বিক্রি করতেন এক গ্রাম্য চিকিৎসক। খবর পেয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ ওই ফার্মেসি থেকে সরকারি ওষুধসহ গ্রাম্য চিকিৎসক চন্দন গাইনকে আটক করে। এ সময় দোকানটি থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ সরকারি ওষুধ। এর আগে গত ৩ মার্চ নগরীর মজিদ সরণি এলাকায় ইজিবাইক থেকে বিক্রি নিষিদ্ধ ৩ বস্তা ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ওষুধসহ আটক হন আশিক শেখ নামে আরেক ব্যক্তি। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য মতে, হাসপাতালের অসাধু কর্মচারী ও প্রশাসনের যোগসাজশে সরকারি ওষুধ কালোবাজারে বিক্রি হয়। আর এসব কারণে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গরিব সাধারণ রোগীরা। খুলনা জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ আশরাফ-উজ্জামান বলেন, যারা সরকারি ওষুধের কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তাহলে সাধারণ জনগণ এই সুফলটা পাবে। এদিকে খুলনায় বিপুল পরিমাণ সরকারি ওষুধ ও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল উদ্ধারের পর নড়েচড়ে বসেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ‘কোন হাসপাতাল থেকে কোন স্টাফ এই সরকারি ওষুধ বাইরে বের করে দিল, আমরা সেই চোরকে ধরতে চাই। এ জন্য আমরা অভিযান শুরু করেছি।’

এদিকে ওষুধ পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, সরকারি ওষুধ বিক্রির দায়ে ওই দোকান মালিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া এ ধরনের কর্মকাে  জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর