শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা
আজ বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস

উৎপাদনকারী, আমদানিকারকও শাস্তির আওতায় আসছে

আরাফাত মুন্না

এত দিন পণ্যে ভেজাল ও বিক্রিতে ক্রেতার সঙ্গে প্রতারণার দায়ে শুধু বিক্রেতাকেই শাস্তি দেওয়া হতো। এবার উৎপাদনকারী ও আমদানিকারকের শাস্তির বিধান রেখে সংশোধন হচ্ছে ভোক্তা অধিকার আইন। এরই মধ্যে সংশোধিত আইনের খসড়া চূড়ান্ত করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মতামতের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানগুলোতেও পাঠানো হয়েছে খসড়ার অনুলিপি। সব পক্ষের মতামতের পরই চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে মন্ত্রিপরিষদে। জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন। আজ বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ডিজিটাল বাজার ব্যবস্থায় অধিকতর স্বচ্ছতা ন্যায্যতা নিশ্চিতকরণ’। ১৯৮৩ সাল থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

 প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।

ভোক্তা অধিকার আইনের খসড়া সংশোধনী পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর নামটি সংক্ষিপ্ত করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। চলমান ভোক্তা আইন-২০০৯-এ ভোক্তা তার অধিকার ক্ষুণœ হলে বিক্রেতার বিরুদ্ধে অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু নতুন আইনের খসড়ায় অধিদফতরের মহাপরিচালক বা অধিদফতরের ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করতে পারবেন। এ ছাড়া দেশের প্রতিটি জেলায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা তার চেয়ে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো কর্মকর্তার কাছেও লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।

খসড়ায় আরও দেখা গেছে, পণ্য বা সেবা কিনে প্রতারিত হলে ভোক্তা চলমান আইনে শুধু বিক্রেতাকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ করেন। কিন্তু নতুন আইনের খসড়ায় বিক্রেতাসহ উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী অথবা পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাকে অভিযুক্ত করা যাবে। পরে তাদের কোনো ধরনের অনিয়ম পেলে ভোক্তা অধিকার আইনে শাস্তি প্রদানেরও ব্যবস্থা থাকছে। এ ছাড়া কোনো পণ্য বা সেবা বিক্রয়কালে রসিদও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রসিদ না দিলেও শাস্তির আওতায় আনা যাবে বিক্রেতাকে। নতুন আইনে ভোক্তা কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয় করে প্রতারিত হলে এর কারণ উদ্্ঘাটন হওয়ার ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগ করতে পারবেন।

দেশে উৎপাদিত বা আমদানিকৃত মোড়কজাত পণ্যে উৎপাদনের তারিখ মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, মডেল বা ব্যাচ নম্বর, উৎপাদনকারী বা আমদানিকারকের নাম-ঠিকানা না দেওয়া হলে এক বছরের কারাদ- বা এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে। নতুন আইনের খসড়ায় দোকান বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে মোড়কবিহীন পণ্য অথবা সেবার মূল্যতালিকা দৃশ্যমান স্থানে টানাতে বলা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর