রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা গেলে চকবাজার ট্র্যাজেডি হতো না

সুজন গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিমতলীর পর নিয়মিত ফলোআপ হলে হয় তো চকবাজারের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটত না। এখন থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা গেলেই ভবিষ্যতে নিমতলী ও চকবাজারের ট্র্যাজেডির মতো ঘটনা এড়ানো সম্ভব। গতকাল বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক আয়োজিত ‘চকবাজার ট্র্যাজেডি ও ফলোআপ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বক্তারা।

তারা বলেন, ৯ বছর আগে নিমতলীর অগ্নিকাণ্ডের পর পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন সরানোর জোর দাবি ওঠে। সে সময় করা ১৭টি সুপারিশ এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ আগুনে ৭১ জনের মৃত্যুতে সেই সুপারিশ বাস্তবায়নসহ দায়বদ্ধতার বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে।

গোলটেবিলে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজনের জাতীয় কমিটির সদস্য মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর। বক্তব্য রাখেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, নির্বাহী সদস্য সৈয়দ আবুল মকসুদ, স্থপতি ইকবাল হাবিব, সুজন নির্বাহী সদস্য প্রকৌশলী মুসবাহ আলীম, সুজন জাতীয় কমিটির সদস্য রোবায়েত ফেরদৌস,  নগর পরিকল্পনাবিদ রিয়াজ উদ্দিন, বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, আবুল বাশার হাওলাদার, নাজিম উদ্দিন, সাংবাদিক পাঠান আজহার, ক্যামেলিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম, সেলিনা হাফিজ এবং কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের মধ্যে ছিলেন মোহাম্মদ বেলায়েত হোসাইন। ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নিমতলী ও চকবাজারের ঘটনার বড় কারণ হলো কর্তৃপক্ষকে দায়বদ্ধ করতে ব্যর্থ হওয়া। এই ব্যর্থতার দায়ভার আমাদের সবার- নাগরিক সমাজের, গণমাধ্যমের।

আমাদের সংসদীয় কমিটিগুলো যদি নিমতলীর ঘটনার পর নিয়মিত ফলোআপ করত তাহলে হয় তো চকবাজারের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটত না। স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, আমাদের রাষ্ট্র নিমতলী ও চকবাজারের ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করছে না। ক্ষতিপূরণের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, যদি সরকারের সদিচ্ছা থাকে এবং রাজউক এবং সিটি করপোরেশনের দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায় তাহলেই ভবিষ্যতে নিমতলী ও চকবাজারের ট্র্যাজেডির মতো ঘটনা এড়ানো যাবে। রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, আমাদের সমাজে জবাবদিহিতা খুবই কম। দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের সংসদ কার্যকর ভূমিকা পালন করছে না।

সর্বশেষ খবর