শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা
বসুন্ধরায় সফট এক্সপো

শেষ দিনে দর্শনার্থীদের ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেষ দিনে দর্শনার্থীদের ভিড়

বসুন্ধরায় শেষ হলো চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের তথ্যপ্রযুক্তির ধারায় বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা তুলে ধরে আয়োজিত বেসিস সফট এক্সপো। তথ্যপ্রযুক্তির নতুন নতুন উদ্ভাবন, ব্যবহারের অভিজ্ঞতা নিতে হাজার হাজার দর্শনার্থীর ভিড়ে মুখরিত হয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) প্রাঙ্গণ। এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় পরিসরের বেসিস সফট এক্সপোতে গতকাল শেষ দিনে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেসিস সফট এক্সপোর এ ১৫তম আয়োজন হয়েছে সবচেয়ে বড় পরিসরে। আইসিসিবির ৪টি হলজুড়ে দেশের আইসিটি খাতের সবচেয়ে বড় এই মেলা। প্রতি বছরের মতো এবারও দেশ-বিদেশ থেকে বক্তারা এসেছিলেন। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ছিল উইমেন জোন। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি স্টলেই জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) জমা দেওয়ার বিশেষ সুবিধা। আইসিটি খাতে ক্যারিয়ার গড়তে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এসেছিলেন মেলায়। ব্যবসা সম্প্রসারণ কিংবা নতুন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ছিল বি-টু-বি ম্যাচমেকিং, জাপান ডে, করপোরেট আওয়ার। বিজনেস        লিডারস মিটে অংশ নেন করপোরেট প্রতিষ্ঠানের পাঁচ শতাধিক পদস্থ কর্মকর্তা। সবাইকে নিয়েই এবারের মেলার আয়োজনটি করা হয়েছে। এবারের মেলার স্লোগান সমৃদ্ধির জন্য প্রযুক্তি (টেকনোলজি ফর প্রসপারিটি)। গোটা দুনিয়া চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে। তথ্যপ্রযুক্তি বদলে দিচ্ছে জীবনমান। তথ্যপ্রযুক্তির এ ধারায় চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে আমূল পাল্টে যাবে জীবন। প্রদর্শনীতে এবার প্রায় আড়াইশ দেশি-বিদেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করেছে। এবারের এক্সপো এলাকাটি ১০টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। নতুন সংযোজন হিসেবে ছিল ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ জোন এবং এক্সপেরিয়েন্স জোন, যা বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা তুলে ধরে। রয়েছে উইমেন জোন, ভ্যাট জোন, ডিজিটাল এডুকেশন জোন, ফিনটেক জোন। আর বরাবরের মতোই রয়েছে সফটওয়্যার সেবা প্রদর্শনী জোন, উদ্ভাবনী মোবাইল সেবা জোন, ডিজিটাল কমার্স জোন, আইটিইএস ও বিপিও জোন। প্রদর্শনীতে গিয়ে দেখা গেছে, সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে অ্যাপস তৈরি করে দিচ্ছেন স্পটে। অফিশিয়াল বিভিন্ন সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে। বৃহৎ অফিস ম্যানেজমেন্ট করার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস। বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের তৈরি এসব অ্যাপসে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা সংযোজন করা হয়েছে। শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরে রপ্তানি করা হচ্ছে এসব সফটওয়্যার।

 মেট্রোনেট বাংলাদেশ এমনই একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ওয়েবসাইট হোস্টিং, ইন্টারনেট, আইপি পিএবিএক্স নিয়ে কাজ করে। খুব অল্প খরচে যে কোনো ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করে দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। কিউ ম্যানেজমেন্ট বাসাবাড়ি বা অফিশিয়াল বিভিন্ন ডিসপ্লে তৈরি করছে। এর মধ্যে রয়েছে সেন্ট্রাল ডিসপ্লে, টোকেন ডিসপেন্সার  কিওস্ক, কাউন্টার এলইডি ডিসপ্লে, সার্ভিস ডেলিভারি কাউন্টার। পিডব্লিউসি সাইবার সিকিউরিটি বিভিন্ন ধরনের সাইবার সিকিউরিটি অ্যাপস, সরঞ্জাম তৈরি করছে। ডিল্যাব নিয়ে এসেছিল ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ক্যামেরা। এ ক্যামেরার সাহায্যে ভার্চুয়াল গেমিং প্রোগ্রাম তৈরি করে থাকে। এমন সব নিত্যনতুন প্রযুক্তি নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল মেলার। গত ১৯ মার্চ শুরু হয়েছিল এই প্রদর্শনীর।

সর্বশেষ খবর