ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) জমে উঠেছে খাদ্য ও এগ্রো মেলা। বিভিন্ন প্রকার খাদ্যপণ্য, উৎপাদনের প্রযুক্তি, মেশিনারিজ দিয়ে সাজানো এ মেলার তৃতীয় দিনে গতকাল ব্যাপক লোকসমাগম ঘটে। মেলায় দেখা গেছে, পরিবেশবান্ধব শিল্প-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন শিল্প উদ্যোক্তারা। দর্শনার্থীরাও বিভিন্ন খাবার স্টলে ঘুরছেন। দেশের শিল্প খাতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ভূমিকা তুলে ধরতে এ মেলার আয়োজন করেছে সেমস্ গ্লোবাল। দেখা গেছে, খাদ্যপণ্য উৎপাদনে স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি নিয়ে আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে ব্যক্রিক্রমী নানা আয়োজন। মেলায় অংশ নেওয়া কেপিসি ইন্ডাস্ট্রিজের স্টলে রয়েছে বিভিন্ন রঙের চমৎকার ডিজাইনের কাপ, প্লেট, গ্লাস। দেখে মনে হয় সিরামিকের ওপর বিভিন্ন কোম্পানির লোগো দিয়ে তৈরি করা পণ্য। হাতে নিয়ে দেখা গেছে খুবই হালকা। কথা হয় প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার কাজী সাজেদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি জানান, গাছের পাতা ও কাগজ দিয়ে তৈরি এসব কাপ ও প্লেট। তিনি বলেন, আমরা চাই স্বাস্থ্যকর খাদ্যের ফুড গ্রেড পাত্র। বাইরে যেখানেই আপনি খাদ্য গ্রহণ করেন না না কেন- সেটা যেন সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত থাকে, একই সঙ্গে হয় পরিবেশবান্ধবও। জাতিসংঘের ঘোষিত এসডিজির অন্যতম শর্ত হচ্ছে পরিবেশ সুরক্ষায় শিল্প উৎপাদন। খাদ্যপণ্যের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে স্বাস্থ্যঝুঁকিমুক্ত পণ্য উৎপাদনও অন্যতম শর্ত। বাংলাদেশের শিল্প খাতের অন্যতম সম্ভাবনাময় শিল্প হতে পারে কাগজের তৈরি এসব পণ্য। মেলায় স্পেন, ইউএসএ, পোল্যান্ড, থাইল্যান্ড, চীন, তুরস্ক, ভারত ও বাংলাদেশের খাদ্যপণ্য ছাড়াও কৃষিজাত উপকরণ উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের খ্যাতনামা প্রায় ১২০টি প্রতিষ্ঠান ১৬০টি স্টল দিয়ে এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করছে। এতে রয়েছে খাদ্যপণ্য, পানীয়, কৃষিজাত পণ্য, পোল্ট্রি পণ্য, বিভিন্ন ধরনের কৃষি উপকরণ, পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ মেশিনারিজ, রাসায়নিক উপকরণসহ বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। রয়েছে এসবের প্রদর্শনী এবং বিপণনের বিশাল সমাহার। এ মেলা চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত।
