ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চলছে খাদ্যপণ্যের প্রদর্শনী। বাংলাদেশে উৎপাদিত খাদ্যপণ্যের আন্তর্জাতিক ব্র্যাডিং করতে আয়োজন করা হয়েছে এ প্রদর্শনীর। কৃষিজাত পণ্য দিয়ে উৎপাদিত খাদ্য প্রক্রিয়াজাত পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের প্রক্রিয়া দেখানো হচ্ছে এখানে। প্রচলিত পাউরুটি, চানাচুর, লাইভস্টক থেকে শুরু করে সব ধরনের পণ্য রয়েছে এখানে। মেলার দ্বিতীয় দিনে গিয়ে দেখা গেছে দেশ-বিদেশের দর্শনার্থীর ভিড়।
প্রদর্শনীতে কৃষিজাত পণ্যের মধু, সরিষার তেল, রাইস ব্রান তেল, টমেটো সস, দধি, ঘি, বিভিন্ন প্রকার জেলি তৈরির মেশিনারিজ ও প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হচ্ছে। এমনি একটি স্টলে গিয়ে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যকরভাবে এসব পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সারা দেশে এসব পণ্যের শিল্প ছড়িয়ে দিতে উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করছে। আরডিএর সহযোগিতায় যে কেউ তাদের সাহায্য নিয়ে কারখানা করতে পারেন। খুব কম খরচে নিজ বাড়িতে করা সম্ভব এসব কারখানা। এখানে রয়েছে চানাচুর তৈরির মেশিনারিজ। আলু দিয়ে সহজে তৈরি করা যায় চিপসসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী এমন সব মেশিনারিজ প্রদর্শন করা হয়েছে। স্বয়ংক্রিয় এসব মেশিনের মাধ্যমে খুব কম সময়ে ও খরচে উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখানো হচ্ছে। রয়েছে আইসক্রিম উৎপাদন মেশিনারিজ, প্যাকেটজাত প্রক্রিয়া। কেপিসি ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে এসেছে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেট, থালাবাসন। ওয়ানটাইম এসব পণ্যের বাজার এখন বিশ্বব্যাপী। চা, কফি পানের কাপসহ খাবার প্লেট তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি গাছের পাতা দিয়ে। বাজারে প্লাস্টিক পণ্যের বিকল্প এ পণ্য স্বাস্থ্যকর; যা এখন রপ্তানি করা হচ্ছে এশিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। প্রদর্শনীতে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ইউএসএ, শ্রীলঙ্কা, চায়না, রাশিয়া, ভিয়েতনাম, ভারত ও বাংলাদেশের খাদ্যপণ্য, কৃষিজাত উপকরণ উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলো অংশগ্রহণ করছে। এতে রয়েছে খাদ্যসামগ্রী, পানীয়, কৃষিজাত পণ্য, পোলট্রি পণ্য, বিভিন্ন ধরনের কৃষি উপকরণ, পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ মেশিনারিজ, রাসায়নিক উপকরণসহ বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি প্রদর্শন ও বিপণনের বিশাল সমাহার। বাংলাদেশে খাদ্যশিল্প খাতকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে ক্রেতা, পরিবেশক ও উদ্যোক্তারা কৃষির আনুষঙ্গিক উপকরণ ও নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন। উৎপাদক ও ভোক্তার সরাসরি সাক্ষাৎ ও আলাপচারিতায় প্রদর্শনীটি বাংলাদেশের খাদ্যশিল্পের বাজার সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
