রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

পাঁচ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে ছিনতাইর অভিযোগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক কর্মচারীর জামাতাকে মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে শাখা ছাত্রলীগের পাঁচ কর্মীর বিরুদ্ধে। ছিনতাইকালে তিন ছাত্রলীগ কর্মী বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মচারীদের কাছে ধরা পড়লেও পালিয়ে যেতে সক্ষম হন অপর দুজন। গতকাল ভোরে বিশ^বিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনের পেছনে এই ছিনতাই ও মারধরের ঘটনা ঘটে। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) আ স ম ফিরোজ উল হাসান। আটক তিন ছাত্রলীগ কর্মী হলেন ৪৪তম ব্যাচের সঞ্জয় ঘোষ (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব), ৪৫তম ব্যাচের রায়হান পাটোয়ারী (ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান) ও আল রাজী (সরকার ও রাজনীতি)। এ ছাড়া পালিয়ে যাওয়া দুই ছাত্রলীগ কর্মী হলেন ৪৫তম ব্যাচের শাহ মুশতাক সৈকত (সিএসসি) ও মোকাররম শিবলু (দর্শন)। তাদের মধ্যে রায়হান পাটোয়ারী আগের একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কৃত ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত বলে নিশ্চিত করেছে প্রক্টর অফিস।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সঞ্জয় ঘোষ, রায়হান পাটোয়ারী ও আল রাজী শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি জুয়েল রানার অনুসারী। শিবলু ও সৈকত বিশ^বিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চলের অনুসারী। তাদের মধ্যে শিবলু সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চলের ফুফাতো ভাই।

ভুক্তভোগীর আত্মীয়স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ির চালক আলমগীর হোসেনের জামাতা মনির সরদার গতকাল ভোরে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে ঢাকায় চাকরির স্থলে যোগদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল এলাকার রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রলীগ কর্মী তার সঙ্গে থাকা নগদ অর্থসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেন। আত্মরক্ষার জন্য দৌড় দিলে অভিযুক্তরা তাকে আটক করে একটি ইজিবাইকে বোটানিক্যাল গার্ডেনের পেছনে নিয়ে যান। সেখানে তারা তাকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বানানোর চেষ্টা এবং বেধড়ক মারধর করেন। তারা মনিরের স্ত্রীর কাছে মুঠোফোনে এক লাখ টাকাও দাবি করে। খবর পেয়ে মনিরের শ্বশুরবাড়ির লোকজনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মচারী ঘটনাস্থলে যান। এ সময় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তরা পালানোর চেষ্টা করলে তিনজনকে আটক করা হয়। তবে শিবলু ও সৈকত পালিয়ে যান। আটক তিনজনকে প্রথমে নিরাপত্তা অফিসে নিয়ে যান কর্মচারীরা। সেখান থেকে তাদের প্রক্টর অফিসে নেওয়া হয়। আর ভুক্তভোগী মনির সরদারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসনেরও দায়িত্ব আছে। তবে আমি সঞ্জয়কে ছাড়া বাকিদের চিনি না।’ ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘আমরা একটা অভিযোগপত্র পেয়েছি। আগামীকাল (আজ) বিকালে জরুরি ডিসিপ্লিন বোর্ড বসবে। তারপর কালকেই (আজ) সিন্ডিকেট বসবে। সেখানে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর