রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন প্রচার করলে কাল থেকে আইনি ব্যবস্থা

অনুমোদনহীন অনলাইন টিভিগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে দেশীয় বিজ্ঞাপন প্রচার করলে আগামীকাল ১ এপ্রিল থেকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জন্য বিজ্ঞাপনদাতা কোম্পানিগুলোর সহায়তা চেয়ে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমরা দুবার পরিপত্র জারি করেছি। এটি আগামীকাল ১ এপ্রিল থেকেই বাস্তবায়ন করতে চাই। পাশাপাশি অনুমোদনহীন অনলাইন টেলিভিশনগুলোর (আইপিটিভি) বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব আইপিটিভিকে তথ্য মন্ত্রণালয় কোনো অনুমোদন দেয়নি। বিটিআরসি কাউকে অনুমোদন দিয়েছে কিনা- সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার আয়োজিত ‘সংকটে বেসরকারি টেলিভিশন’ শীর্ষক সেমিনারে তথ্যমন্ত্রী এসব তথ্য দেন। সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন, স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসির চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী, চ্যানেল২৪-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সভাপতি রেজওয়ানুল হক, সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ, বেঙ্গল গ্রুপ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান আসফার খায়ের, স্কাই এন্টারটেইনমেন্ট নেটওয়ার্কের নুরুল আলম প্রমুখ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জিটিভির এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত ৪৪টি টেলিভিশনকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩টি সম্প্রচারে রয়েছে, অন্যগুলো সম্প্রচারের অপেক্ষায়। আমাদের দেশে চ্যানেলের সংখ্যা কলকাতার চেয়ে অনেক বেশি। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো যেন টিকে থাকে, চ্যানেলে যারা চাকরি করে তাদের চাকরির যেন নিশ্চয়তা থাকে, এসব বিষয়ে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এ জন্য চ্যানেলগুলোর আয় বাড়াতে হবে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে ডাউনলিংকপূর্বক সম্প্রচারিত সব বিদেশি টিভি চ্যানেলে দেশীয় পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করা দ নীয় অপরাধ। তারপরও বাংলাদেশে যেসব বিদেশি চ্যানেল জনপ্রিয়, সেগুলোতে বহুজাতিক ও বেশকিছু বাংলাদেশি কোম্পানির বিজ্ঞাপন অবৈধভাবে প্রচার করা হয়। এ আইনটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হলেই, বছরে ৫০০ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দেশীয় টেলিভিশনগুলো পাবে বলে আমি মনে করি। এ পরিমাণ বিজ্ঞাপন পেলে আজকে টেলিভিশনে যে সংকট রয়েছে, সেটা কেটে যাবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ক্যাবল অপারেটররা লাইন দিয়ে যে টাকা আয় করে সেখান থেকে একটা অংশ টেলিভিশন মালিকদের দেওয়া যায় কিনা, সে বিষয়টি খুঁজে বের করা হচ্ছে। এ জন্য ক্যাবল অপারেটর ও টেলিভিশন মালিকদের বসে একটি প্রস্তাব তৈরির পরামর্শ দেন তথ্যমন্ত্রী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর