বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

খুলনা বিএনপিতে টানাপড়েন!

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনায় হামলা-মামলা ও দলবদলে টানাপড়েন দেখা দিয়েছে বিএনপিতে। একই সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় মাঠপর্যায়ে সাংগঠনিক তৎপরতা কমেছে। তবে একে দলীয় বিপর্যয় মানতে নারাজ বিএনপির সিনিয়র নেতারা। তাদের দাবি, মাঠ পর্যায়ে ঘুরে দাঁড়াতে দলে পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিএনপি। জানা যায়, খুলনার স্থানীয় রাজনীতিতে বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল দলবদলের। এরই অংশ হিসেবে গত ২৪ মার্চ সিটি করপোরেশনের বিএনপি ঘরানার ১২ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর কয়েকশ নেতা-কর্মী নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়। এদের অধিকাংশই ছিলেন খুলনায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজগার লবির অনুসারী। এতে স্থানীয় রাজনীতিতে বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই বিএনপির কাউন্সিলরদের দাবি, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তাতে শরিক হতেই আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। তবে আদর্শগত সম্পূর্ণ বিপরীত রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ায় তারা নিজেরাই বিশ্বাসঘাতক হিসেবে চিহ্নিত হবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতারা। মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপি এতে মোটেই উদ্বিগ্ন নয়। বরং সুবিধাবাদীদের দল ত্যাগে মনোবল বেড়েছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। এদিকে বিগত উপজেলা নির্বাচনে খুলনার ৯টি উপজেলার মধ্যে ডুমুরিয়া, পাইকগাছা ও কয়রায় বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থীরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু এবারের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় উপজেলা পরিষদের তাদের প্রতিনিধিত্ব হাতছাড়া হয়েছে। পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে বিএনপির সাংগঠনিক তৎপরতা কমেছে।   নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, বিএনপি এখন দলের পুনর্গঠনের দিকে নজর দিয়েছে। মহানগরীর প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানাকে নতুন করে সংগঠিত করতে বিএনপি প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে আর কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। এ সিদ্ধান্ত ইতিবাচক হিসেবেই নিয়েছে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নিলেও তৃণমূল বিএনপি কর্মীরা চাঙ্গা রয়েছে। তারা আগামীতে কঠোর কর্মসূচি সফল করতে প্রস্তুত রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর