বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

ডিভিডেন্ডে কর কমানো বিবেচনায় আছে

------ এনবিআর চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে শেয়ার ডিভিডেন্ড বা মুনফার ওপর আরোপিত করহার কমানোর বিষয় বিবেচনায় আছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। তিনি বলেছেন, ‘নতুন করদাতা তেমন পাচ্ছি না। যারা ট্যাক্স দিচ্ছেন, তারাই দিয়ে যাচ্ছেন।’ গতকাল রাজধানীর সেগুন বাগিচায় রাজস্ব ভবনে আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসব কথা বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান। আলোচনায় বিভিন্ন খাতে বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজÑবিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ, সিনিয়র সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি প্রীতি চক্রবর্তী এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিÑডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীর, সহসভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, সহসভাপতি ইমরান আহমেদ, পরিচালক রাশেদুল করিম মুন্না, দ্বীন মোহাম্মদ প্রমুখ।

ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবনা শুনে এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমরা গত বছরও করপোরেট ট্যাক্সের ওপর ছাড় দিয়েছি। এ বছরও আপনারা করপোরেট ট্যাক্সের ওপর ছাড় চেয়েছেন। ভারতের চেয়ে আমাদের করপোরেট কর অনেক কম। তবে সরকারের পর্যায়ক্রমে কর কমিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। সেটি আমরা দেখব। শেয়ার ডিভিডেন্ডের ওপরও কর কমানোর বিষয় বিবেচনায় আছে। তিনি বলেন, নতুন ভ্যাট আইন নতুন অর্থবছরে বাস্তবায়ন করা হবে। এখন জেলা পর্যায়ে ট্যাক্স অফিস হয়েছে। আগামীতে এটি উপজেলায় করা হবে। এক্ষেত্রে বড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উচ্চ হারে কর না নিলেও চলবে।

বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, তরুণদের উদ্যোগে অর্থায়নের জন্য বাজেটে বিশেষ তহবিল গঠন করুন। বিনা জামানতে এবং সর্বনিম্ন সুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা, যা বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য বিদেশি ব্যাংক এবং সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং তরুণ শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য ন্যূনতম পাঁচ বছর কর অবকাশ প্রদান করা হোক।

তিনি আরও বলেন, কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানে শতকরা ৫ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের শ্রমিক নিয়োগ করলে বিশেষ কর সুবিধা দিতে হবে। তিনি প্রতিষ্ঠান আধুনিকায়নের জন্য বিনিয়োগে বিশেষ কর সুবিধা এবং স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য সব ধরনের বিনিয়োগ করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করেন। এ ছাড়া এনবিআরে একটি ট্যাক্স, ট্যারিফ এবং ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন নামের পৃথক বিভাগ অবিলম্বে গঠন করার প্রস্তাব করেন।

ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীর নতুন অর্থবছরের জন্য ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা এবং মোট করযোগ্য আয় ৫ লাখ টাকা হলে ৫ শতাংশ, ৭ লাখ টাকা হলে ১০ শতাংশ, ৯ লাখ টাকা হলে ১৫ শতাংশ ও ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত হলে ২০ শতাংশ হারে কর নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেন। এ ছাড়া নিট সম্পদের মূল্য ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত শূন্য হারে সারচার্জ আরোপের পাশাপাশি ১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ হারে সারচার্জ নির্ধারণ করার জন্য প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য কর-বান্ধব কর নীতিমালার কোনো বিকল্প নেই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর