বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

ভারপ্রাপ্তে বন্দী চট্টগ্রামের স্কুল-কলেজ

সিটি করপোরেশনের ২০ কলেজে অধ্যক্ষ আছেন মাত্র একজন ২৫ বালিকা বিদ্যালয়ের ১৫টিতেই নেই প্রধান শিক্ষক

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

ভারপ্রাপ্তে বন্দী চট্টগ্রামের স্কুল-কলেজ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) পরিচালিত কলেজ আছে ২০টি। এর মধ্যে মাত্র একটি কলেজেই নিয়মিত অধ্যক্ষ কর্মরত আছেন। বাকি ১৯টিই চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। একইভাবে ২৫টি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে ১৫টি চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। বালক ও বালিকা উচ্চবিদ্যালয় আছে ১৪টি। এর মধ্যে ৯টিই চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে।

এভাবে চসিকের কলেজ ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলো দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। ফলে এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে  চলছে শিক্ষক সংকট। আছে জনবল সংকটও। এ কারণে   শিক্ষার্থীদের মানসম্পন্ন শিক্ষা ও পাঠদানে সমস্যা হয় বলেও অভিযোগ আছে। প্রসঙ্গত, জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী মাধ্যমিকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর  অনুপাত ১: ৩০ করার কথা রয়েছে।  

চসিকের শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চসিকের স্কুল-কলেজের সংখ্যা ৬৭টি। এর মধ্যে কলেজ ২০টি, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ২৫টি, বালক উচ্চ বিদ্যালয় ৮টি, বালক-বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১৪টি। এর মধ্যে কলেজগুলোতে আছে প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থী এবং স্কুলগুলোতে আছে প্রায় ৪৫ হাজার। চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে  স্কুলগুলোতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের একটি প্রক্রিয়া শুরু করেছি। নিয়োগ  বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে শিগগিরই প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’  জানা যায়, কলেজ পর্যায়ে একজন সহকারী অধ্যাপককে অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়ে এবং স্কুল পর্যায়ে একজন সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে  চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এমন অবস্থায় মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানে প্রয়োজনীয় শিক্ষক, শ্রেণি কক্ষ ও উপযুক্ত পরিবেশ পূর্বশর্ত। এসবের কোনো একটির কম হলে মানসম্পন্ন শিক্ষায় সংকট দেখা দেয়। তদুপরি প্রতিষ্ঠানের প্রধান যদি না থাকেন তাহলে পাঠদান ও প্রশাসনিক কাজে বিঘœতা দেখা যায়। ফলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান প্রধানের পদ পূরণ করা জরুরি বলে আমরা মনে করি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর