রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

ইবির পাঁচ শিক্ষকের শাস্তি

নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

নিয়োগ বাণিজ্য, ক্লাস ফাঁকি, অবৈধভাবে বিদেশে অবস্থানসহ নানা অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পাঁচ শিক্ষককে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ৫ এপ্রিল উপাচার্যের বাসভবনে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪৪তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শাস্তি পাওয়া পাঁচ শিক্ষকের মধ্যে দুজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে, দুজনের পদাবনতি ও একজনকে বিশেষ ক্ষেত্রে কোসের্র সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আবদুল লতিফ।

শাস্তি পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. গাজী ওমর ফারুক ও ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তারেকুজ্জামানকে ক্লাস ফাঁকি এবং ছুটিবহির্ভূত দীর্ঘদিন বিদেশে অবস্থান করায় বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ ও বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুলকে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে পদাবনতি করা হয়েছে।

শাহাদৎ হোসেন আজাদকে অধ্যাপক থেকে পদাবনতি করে সহযোগী অধ্যাপক ও বাকী বিল্লাহ বিকুলকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপকে পদাবনতি করা হয়। অন্যদিকে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকারের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে মানসিক চাপ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ওই ছাত্রীর কোর্সের বিষয়ে কোনোরকম হস্তক্ষেপ করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তেল চুরির অভিযোগে মনসুর আলী নামের এক ড্রাইভারকে বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, ‘সিন্ডিকেট দীর্ঘ পর্যালোচনা ও বিচার-বিশ্লেষণ করে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো প্রকার দুর্নীতির ঠাঁই নেই। কাজে ফাঁকি দেওয়াও বড় দুর্নীতি।’

সর্বশেষ খবর