মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

খুলনায় অন্তর্দ্বন্দ্বে আওয়ামী লীগ

একের পর এক সংঘর্ষ, নৌকায় ভোট দেওয়ায় নেতা-কর্মী ঘরছাড়া

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনায় অন্তর্দ্বন্দ্বে আওয়ামী লীগ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে খুলনায় নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। নেতারা একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হওয়ায় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। জানা যায়, খুলনার ৯টি উপজেলার মধ্যে ৭টিতে আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় শুরু থেকেই উত্যপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। ৩১ মার্চ উপজেলা নির্বাচনের আগেই রূপসা, তেরখাদা, ডুমুরিয়া, কয়রা ও দিঘলিয়ায় একই দলের দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। নির্বাচন পরবর্তী সময়েও এসব স্থানে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। গত ৪ এপ্রিল রূপসায় বিজয়ী ভাইস চেয়ারম্যানের সমর্থক স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলায় গুরুতর আহত হয় একই উপজেলার মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহিনা আকতার লিপি ও তার ছেলে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসীর আরাফাত। হামলাকারীরা তাদের বাড়ি ভাঙচুর করে। লিপি নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। এদিকে রূপসা উপজেলায় নৌকা প্রতীকে বিজয়ী  চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ করেছেন পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাবেক কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আলী আকবর শেখ। তিনি বলেন, নির্বাচনের পর তার কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, বাড়ি, ঘর-দোকানে ভাঙচুর ও মারপিট করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনী সহিংসতার জের ধরে গত শুক্রবার রাতে কয়রায় স্থানীয় দৈনিক খুলনাঞ্চলের সাংবাদিক শাহজান সিরাজ (২৬) কে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় নবনির্বাচিত কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী) এসএম শফিকুল ইসলামের সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এখানে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ায় প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দলের অসংখ্য নেতা-কর্মী। তবে পাল্টা অভিযোগ করে কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনকে        কলুষিত করতে পরাজিত নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা করে আতংক সৃষ্টি করছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আইনজীবী সুজিত অধিকারী বলেন, প্রতিনিয়ত হামলা-সংঘর্ষে দলের মধ্যে বিভেদ তৈরি হচ্ছে। হামলাকারীরা নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের অতিউৎসাহী কর্মী-সমর্থক। দলে তাদের পদ-পদবি না থাকায় সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়াও যাচ্ছে না।

 

সর্বশেষ খবর