মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

শিল্প খাত উন্নয়নে বিসিআইর ১৩ দাবি

তরুণদের জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী অর্থবছরের বাজেটে শিল্প খাতের উন্নয়নের জন্য ১৩ দফা দাবি জানিয়েছেন শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডান্ড্রিজ-বিসিআই সভাপতি  আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ। তিনি বলেছেন, তরুণ শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য বাজেটে বিশেষ তহবিল গঠন করা হোক। দেশের প্রত্যন্ত ও অনুন্নত অঞ্চলে বিনিয়োগ ও শিল্পায়ন উৎসাহিত করে কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য বিশেষ রেয়াতি সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব করছি।

গতকাল কারওয়ান বাজারের হোটেল লা ভিঞ্চিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ। বক্তব্য দেন সংগঠনটির প্রথম সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি প্রীতি চক্রবর্তী, উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ প্রমুখ। বিসিআই সভাপতি  আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, এসএমই খাতে বিশেষ রেয়াতি সুবিধা নিশ্চিত করতে শুল্ক, মূসক ও কর হার যৌক্তিকীকরণ দরকার। এ ক্ষেত্রে আইনি সংস্কার প্রয়োজন। তিনি বলেন, গ্যাস সঞ্চালন ও বিতরণ কোম্পানি তিতাস মুনাফা করা সত্ত্বেও, শিল্প ও আবাসিক খাতে গড়ে গ্যাসের দাম ১০২ দশমিক ৮৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে, যা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। বিসিআইয়ের বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার-২০১৮ বাস্তবায়ন করতে হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে তরুণ শিল্প উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করা জরুরি। এ জন্য (১)  তরুণ শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ মূল্যে জমি বরাদ্দ রাখা এবং তরুণদের উদ্যোগে অর্থায়নের জন্য বাজেটে বিশেষ তহবিল গঠন করা হোক। (২) বিনা জামানতে এবং সর্বনিম্ন সুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা হোক। (৩) ২০ কর্ম দিবসের মধ্যে সকল প্রকার ইউটিলিটি সংযোগ প্রদান এবং রেয়াতি হারে সংযোগ ও সরবরাহের সংস্থান করা। (৪) ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং তরুণ শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য ন্যূনতম ৫ বছর কর অবকাশ প্রদান করা হোক। (৫) তরুণ শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য ট্রেড লাইসেন্সের ফি প্রথম পাঁচ বছর সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। (৬) কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানে শতকরা ৫ শতাংশ  শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের শ্রমিক নিয়োগ করলে বিশেষ কর সুবিধা। (৭) প্রতিষ্ঠান আধুনিকায়নের জন্য বিনিয়োগে বিশেষ কর সুবিধা প্রদান করতে হবে। (৮) স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য সব ধরনের বিনিয়োগ করমুক্ত রাখা হোক। (৭) গুণগত মান সনদ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। (৮) আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় সব সহায়তা প্রদান করা জরুরি। (৯) ক্ষুদ্র শিল্প এবং নারী উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে খাতভিত্তিক যৌথ প্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্ডেড-ওয়্যারহাউস সুবিধা প্রদান করা। (১০) রপ্তানিপণ্য প্রস্তুতকরণে ব্যবহৃত আমদানিকৃত এবং দেশীয় উপকরণের ওপর পরিশোধিত সব শুল্ক ও কর মওকুফ গণ্য করে ফেরত প্রদান করা হোক। (১১) রেয়াতি হারে অর্থায়ন করা, ফ্যাক্টরিং সার্ভিসকে কার্যকর করা এবং রপ্তানি অর্থায়নের জন্য রেয়াতি হারে মূলধনী ঋণ ও এলসির বিপরীতে ঋণ সুবিধা প্রদান করা। (১২) বিদেশে প্রদর্শনী বা মেলায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান করা দরকার। (১৩) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য সহায়তা ও সুযোগ-সুবিধাদি কার্যকর করা।

সর্বশেষ খবর