স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের প্রচলিত বিচারব্যবস্থা জনগণের সংখ্যার তুলনায় অপর্যাপ্ত। এ শূন্যতা পূরণে গ্রামে ছোটখাট বিরোধগুলো মিটিয়ে ফেলতে গ্রাম আদালত কার্যকরী ভূমিকা রাখছে। স্থানীয়ভাবে সহজে, কম খরচে, দ্রুত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গ্রাম আদালতের ভূমিকা প্রশংসনীয়। গতকাল বিয়াম ফাউন্ডেশনে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যৎ করণীয়বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তাজুল ইসলাম বলেন, গ্রামের মানুষকে বঞ্চিত করে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। বর্তমান সরকার শহরের বিভিন্ন নাগরিক সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেবে। তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১১২টি সেবা প্রদানের কথা থাকলেও সব ইউনিয়ন পরিষদ যথাযথভাবে তা প্রদান করতে সক্ষম নয়। এজন্য ইউনিয়ন পরিষদকেও শক্তিশালী করা হচ্ছে।
রাজস্ব আদায় করতে পারলে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থনৈতিক সক্ষমতা এবং তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও বাড়বে। এতে স্থানীয় সরকার শক্তিশালী হবে। কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক, ইউএনডিপি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশন টু বাংলাদেশের টিম লিডার অড্রে মেলট। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ড. কাজী আনোয়ারুল হক।
