নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের আপস অযোগ্য ১১(গ) ধারা ছয় মাসের মধ্যে সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। এ ধারাটি আপসযোগ্য করতে আইন মন্ত্রণালয় ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে আদেশে। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। ধারাটি সংশোধনের আগ পর্যন্ত দেশের সব নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারককে এ ধারায় মামলা করা কোনো দম্পতি আপস করতে চাইলে তার সুযোগ দিতে বলা হয়েছে আদেশে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোরশেদ। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাত বছর আগে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেছিলেন চট্টগ্রামের একজন নারী। সেই মামলায় তার স্বামীর তিন বছরের সশ্রম কারাদ  এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে রায় ও জরিমানার বিরুদ্ধে হাই কোর্টে একটি মামলা করেন সেই স্বামী। হাই কোর্টে আত্মসমর্পণ করে জামিনও নেন। আদালতে মামলা চলাকালে তাদের মধ্যে মিল হয়ে যায়। এই দম্পতি এখন সংসার করছেন। কিছুদিন আগে তাদের একটি সন্তানও হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বুধবার মামলার শুনানিতে আড়াই মাসের সন্তান নিয়ে এসেছিলেন এই দম্পতি। আদালত দেখলেন এই ধারা আপস অযোগ্য হওয়ায় মামলাও চলছে আবার তারা সংসারও করছেন, দুজনের জন্যই এটা বিব্রতকর অবস্থা। আদালত বলেছে, এটা যেমন আদালতের জন্য বিব্রতকর, তেমনি এই দম্পতির জন্যও বিব্রতকর অবস্থা। এ কারণে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওই সাজার রায়টি বাতিল করে দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের আপস অযোগ্য ১১(গ) ধারা ছয় মাসের মধ্যে সংশোধনের নির্দেশ দেয় বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।