শুক্রবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

সংক্রামক ব্যাধি বিভাগ নিজেই ‘সংক্রমিত’

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

শাহজাদা মিয়া আজাদ ও রেজাউল করিম মানিক, রংপুর

ভবনের সামনে-পেছনে ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। একমাত্র টিউবওয়েল দীর্ঘদিন ধরে বিকল। শৌচাগার থাকলেও নেই দরজা। সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্তদের আলাদা রাখার কথা থাকলেও রাখা হয়েছে একসঙ্গে। এমনকি নারী-পুরুষের জন্য আলাদা ওয়ার্ডও নেই। চিকিৎসকরা আসেন নিজেদের খেয়ালখুশিমতো। এ বেহাল দশা রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের অধীন সংক্রামক ব্যাধি বিভাগের। এটি এখন নিজেই যেন সংক্রমিত। রংপুর নগরের সিটি বাজারের উল্টো দিকে পুরাতন সদর হাসপাতালে দুটি ছোট ঘরে রমেক হাসপাতালের সংক্রামক ব্যাধি বিভাগের কাজ চলছে। এটি এ হাসপাতালের একটি আলাদা ওয়ার্ড হলেও মূল হাসপাতাল ক্যাম্পাস থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে। সরেজমিন দেখা যায়, পুরাতন সদর হাসপাতালের বেশির ভাগ ভবন দখল করে বসবাস করছেন বহিরাগতরা। আর দুটি ছোট ঘরে চলছে সংক্রামক ব্যাধি বিভাগের কার্যক্রম। ২০ ফুট বাই ১০ ফুট আয়তনের একটি ঘরে চলছে ডায়রিয়া ও কলেরায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা। পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা কোনো ওয়ার্ড না থাকায় একটি ঘরেই নারী ও পুরুষ রোগীদের চিকিৎসা চলছে। কর্তব্যরত নার্স আলেয়া বেগম বলেন, ‘এটাকে হাসপাতাল না বলে গোডাউন বলা যায়। এখানে পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। একমাত্র টিউবওয়েল দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। রোগী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অনেক দূর থেকে পানি আনতে হয়।

শৌচাগার আছে দুটি, কিন্তু দরজা নেই। সেখানেও পানির ব্যবস্থা নেই। ডায়রিয়া রোগীদের জন্য ১২টি বেড থাকলেও ১০টি বেডে গাদাগাদি করে রোগী আছেন।’ এসব সমস্যার কথা স্বীকার করে রমেক হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. সুলতান আহাম্মেদ বলেন, ‘এটি (সংক্রামক ব্যাধি বিভাগে) মূল ক্যাম্পাসের বাইরে হওয়ায় আমরা নজরদারি করতে পারি না।

 তবে একটি দশ তলা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। সে কাজ শেষ হলে বিভাগটি হাসপাতাল ক্যাম্পাসেই নিয়ে আসা হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর