দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ১১তম স্প্যানটি জাজিরা প্রান্তের ৩৩ ও ৩৪ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়েছে। এ স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে দৃশ্যমান হলো ১৬৫০ মিটার। এর আগে মাওয়া প্রান্তে ৪-৫ এবং ১৩ ও ১৪ নম্বর পিলারের ওপর দুটি স্প্যান বসানো হয়েছে। গতকাল সকাল ৭টা থেকে জাজিরা প্রান্তে ৩৩ ও ৩৪ নম্বর পিলারের ওপর ৯ম স্পেনটি বসানোর কাজ শুরু হয়।

সেতু বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর জানান, এখন প্রতি মাসেই একটি করে স্পেন বসানো হবে। ইতিমধ্যে সেতুর প্রায় ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে এবং চলতি বছরের মধ্যে সবকটি স্প্যান বসিয়ে পুরো সেতুটি দৃশ্যমান করে তোলা হবে। 

এর আগে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর প্রথম স্প্যান বসানো হয়। সর্বশেষ গত ১০ এপ্রিল মাওয়া প্রান্তে সেতুর ১৩ ও ১৪ নম্বর পিলারের ওপর ১০ম স্প্যানটি স্থাপন করা হয়। ফলে দৃশ্যমান হয় সেতুর দেড় কিলোমিটার (১৫০০ মিটার)।  পদ্মা সেতুর প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। ২১টি পিলার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। এ স্প্যানটি বসানোর সংবাদে পদ্মা পাড়ের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ-উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। দোতলা এ সেতুর নিচতলায় চলবে ট্রেন। স্থাপন করা স্প্যানগুলোয় এখন রেলের স্লাব বসানোর কাজ চলছে। জাজিরা প্রান্তের স্প্যানগুলোয় ১২৮টি স্লাব বসানো হয়েছে। পুরো সেতুর ২ হাজার ৯৫৯টি স্লাব বসানো হবে। মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়াডে স্পেন ও স্লাব বসানোর কাজ চলছে।