বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

হাত বাড়ালেই মেলে মাদক

অর্ধশতাধিক স্পটে রমরমা বাণিজ্য

সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ

চর ঝাউগড়া, চর গোবাদিয়া ও রঘুরামপুরের ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গড়ে উঠেছে ময়মনসিংহ সিটির সর্বশেষ ওয়ার্ড। ময়মনসিংহের বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে পরিচিত শম্ভুগঞ্জ। তবে ওই এলাকার আরেক নাম ‘মাদকের নগরী’। এমন কোনো মাদক নেই যা সেখানে মেলে না। নতুন যুক্ত হওয়া ১২টি ওয়ার্ডের অর্ধশতাধিক স্পটে মাদকের রমরমা বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।

এ ছাড়াও নগরীর আরও শতাধিক স্পটে প্রতিদিন দেদার বিক্রি হচ্ছে মাদক। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে তৎপর হলেও তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা, ফেনসিডিল, মদ, গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক।

মাদকাসক্তির কারণে পাট গুদাম ব্রিজ মোড়ে চাঁদাবাজি, ছিনতাই-রাহাজানির ঘটনা বেশি ঘটছে বলেও জানান বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি এই বিশ^বিদ্যালয়ের কয়েক শিক্ষার্থী ছিনতাইকারীর হাতে সর্বস্ব হারিয়েছেন। তাই ভয়াবহ ব্যাধি থেকে সমাজকে রক্ষায় র‌্যাব, পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও বিজিবিকে নিয়ে নয়া এই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান সচেতন নাগরিকরা।

জানা যায়, শম্ভুগঞ্জের খানকা সবজি পাড়ায় রয়েছে মাদক ব্যবসায় জড়িত শক্তিশালী সিন্ডিকেট। ৪০ থেকে ৫০ জনের এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছেন মানিক ও আজিজ। এ ছাড়াও নগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের চর ঈশ^রদিয়া, গোবিন্দপুর, চর জেলখানার বিভিন্ন স্পটে বিক্রি হচ্ছে মাদক। এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় মাদক ব্যবসায়ীরাও অনেকটা নিশ্চিন্ত।

সূত্র বলছে, নগরীর কেওয়াটখালী গাঁজার  অভয়ারণ্য। চরপাড়া, নাটকঘরলেন ও আকুয়া, এলাকায় কৌশলে বিক্রি হচ্ছে ফেনসিডিল। চামড়া গুদাম, রামকৃষ্ণ মিশন রোড, চরপাড়া, মাসকান্দা, সানকিপাড়া রেল ক্রসিং, সেনবাড়ী, সানকিপাড়া শেষ মোড়, মালগুদাম, বাকৃবি শেষ মোড়, সাহেবকাচারী, খাগডহর, পুলিশলাইনসহ শতাধিক স্পটে হাত বাড়ালেই মিলছে ইয়াবা। বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম জানান, মাদকের জন্য ছিনতাই কোনো ভাবেই কাম্য নয়। গত ২৬ মার্চ মাদকসেবীদের দ্বারা আমাদের বিশ^বিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের প্রান্ত, আজাদ, প্রীতম এবং রাব্বী আহত হন। প্রায় সময়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটে। নতুন সিটিতে নতুনভাবে মাদকের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান এখন সময়ের দাবি। ফারহান মোবাশে^র নামের এক অভিভাবক বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলরদের মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে থাকা উচিত। সবাই এ ব্যাপারে সোচ্চার হওয়া গেলে মাদক নির্মূল সময়ের ব্যাপার।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর