বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

শ্রীলঙ্কার ঘটনায় অনুপ্রাণিত হতে পারে জঙ্গিরা

------- মনিরুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি না রাখা হলে এবং তাদের অবস্থান দীর্ঘমেয়াদি হলে ভবিষ্যতে তারা উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়তে পারে। রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগই বর্তমানে শিশু ও নারী। এই শিশুরা যখন প্রাপ্তবয়স্ক হবে তখন বিভিন্ন ক্ষোভ থেকে উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়তে পারে। অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কার ঘটনা ঝিমিয়ে পড়া জঙ্গিদের কিছুটা হলেও অনুপ্রাণিত করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘মিট উইথ মনিরুল ইসলাম’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)। মনিরুল বলেন, শ্রীলঙ্কার ঘটনার কারণে বিভিন্ন দেশে ঝিমিয়ে পড়া উগ্রবাদীদের কিছুটা হলেও অনুপ্রাণিত করবে। তবে বাংলাদেশেও যাতে অনুপ্রাণিত হয়ে কোনো সহিংস কর্মকা  না ঘটাতে পারে, সে জন্য আমরা তৎপর রয়েছি। বাংলাদেশ পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা সবাই সতর্ক রয়েছে। আমরা মনে করি না যে, তাদের (জঙ্গি) বড় ধরনের হামলার কোনো সক্ষমতা রয়েছে। আইএসে যোগ দেওয়া বাংলাদেশিরাও ফিরছে কি না জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ থেকে কতিপয় লোকজন অধিকাংশ আইএসে গিয়েছে ২০১৪ সালের শেষদিকে। এদের পাসপোর্টের মেয়াদ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। সুতরাং তারা ফিরতে হলে দূতাবাসে গিয়ে ট্রাভেল পাস সংগ্রহ করতে হবে। যারা গিয়েছেন তারা কেপচার, ডিটেইন অথবা ডেথ। কেউ যদি বাংলাদেশে আসে তাহলে আমাদের হাতে বিমানবন্দরেই ধরা পড়বে।

শ্রীলঙ্কায় জঙ্গি হামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কায় কালচার অব ভায়োলেন্স রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে গৃহযুদ্ধ চলেছে। তবে মুসলিম এবং খ্রিস্টানদের মধ্যে সেখানে কোনো সংঘাত ছিল না। এলটিটি কখনো কোনো ধর্মীয় গ্রুপকে টার্গেট করে হামলাও চালায়নি। গভর্নমেন্ট ম্যাকানিজমের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ওপর হামলা করেছে তারা। কোনো সিভিলিয়নদের ওপর হামলা করেনি। শ্রীলঙ্কায় যা ঘটেছে সেটি সন্ত্রাসবাদ এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নাই। নিউজিল্যান্ডের ঘটনার পরে খ্রিস্টানদের পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ধর্ম ভিত্তিক উগ্রপন্থি সংগঠনগুলো তাদের কমিউনিকেশন চ্যানেল সোশ্যাল মিডিয়ায় বক্তব্য দিয়েছে যে খ্রিস্টানদের যেখানে পাওয়া যাবে কিংবা তাদের চার্চগুলোতে টার্গেট করতে হবে। এখানে খ্রিস্টানরাই টার্গেট ছিল। এই হোটেলগুলো খুবই কাছাকাছি। আমার ধারণা এটার ইমপ্যাক্ট বাড়াতে চেষ্টা করেছে এই হামলায়।

শ্রীলঙ্কার হামলা বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি : খেলাফত, শ্রীলঙ্কার হামলা বিশ^ শান্তির জন্য হুমকি স্বরূপ বলে মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির শায়খুল হাদীস মাওলানা ইসমাঈল নূরপুরী ও মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক। শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো ও আশপাশের  গির্জা ও হোটেলে সন্ত্রাসীদের হামলায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। গতকাল  এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসলামসহ কোনো ধর্মই এ ধরনের ন্যক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলা সমর্থন করে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর