বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা
পুরনো ব্যান্ডরোল ব্যবহার

বিড়িতে সরকার শুল্ক হারাচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিড়ি শিল্পে অতিরিক্ত করারোপের ফলে পুরনো ব্যান্ডরোল ব্যবহার করছেন কিছু বিড়ি কারখানার মালিক। এর ফলে সরকার এ খাত থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সহনীয় মাত্রায় করারোপ করা হলে পুরনো ব্যান্ডরোল ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে। এর ফলে বিড়ি থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে।

জানা গেছে, পুরনো ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নকল বিড়ি বাজারজাত করছে। ফলে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মূলত উচ্চ শুল্কহারের কারণে কিছু বিড়ি কারখানার মালিক এ ধরনের অসাধু পথ বেছে নিচ্ছেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, দেশে নিবন্ধিত বিড়ি কোম্পানির সংখ্যা ২৩২টি। এর মধ্যে এনবিআরের দেওয়া শুল্ক করের ভিত্তিতে উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে দেশের অন্যত্তম বৃহৎ কোম্পানি আকিজ গ্রুপের ‘আকিজ’ বিড়ি। এরপর রয়েছে অমৃত গ্রুপের কারিগর বিড়ি। প্রতিষ্ঠিত এসব বিড়ি কারখানার মালিকরা সরকারকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব দিলেও ব্যান্ডরোলবিহীন কিংবা পুনঃব্যবহৃত ব্যান্ডরোল দিয়ে নকল বিড়ি বাজারজাতকারীরা কোনো রাজস্বই দেয় না। ফলে শুল্ক কর দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো অসৎ ব্যবসায়ীদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জানা গেছে, নকল বিড়ি তৈরি কিংবা পুরনো ব্যান্ডরোল ব্যবহারের প্রধান কারণ হচ্ছে বিড়ি কারখানাগুলোর ওপর যেভাবে শুল্কারোপ করা হয়েছে তাতে অনেক কারখানার মালিক তা দিতে সক্ষম নন। কারখানাগুলো সচল রাখতে অনেকে এমন পথ বেছে নিচ্ছেন। নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে এমন বিড়ি ফ্যাক্টরির সংখ্যা শতাধিক বলে জানা গেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর