বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

সক্ষমতা বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ

আজ চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরকে বলা হয়ে থাকে দেশের অর্থনীতির হৃদপি-। জাতীয় রাজস্বের সিংহভাগ জোগান হয় এ বন্দর থেকেই। চট্টগ্রাম বন্দর অতিক্রম করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠার ১৩২তম বছর। মূলত খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে এ বন্দরের গোড়াপত্তন ঘটে এবং নবম থেকে পঞ্চদশ শতাব্দীতে ইউরোপীয় নাবিকদের কাছে এটি ‘শেতগাং’ নামে পরিচিতি লাভ করে। ষোড়শ শতাব্দীতে পর্তুগিজরা এ বন্দর ব্যবহার শুরু করে এর নাম দেয় ‘পোর্টে গ্রান্ডে’ (বৃহৎ বন্দর)। ১৮৮৭ সালে ব্রিটিশ সরকার ৫ লাখ টন হ্যান্ডলিং ক্ষমতাসম্পন্ন চট্টগ্রাম বন্দরের কাজ শুরু করে। আজ তা ৫ কোটি টনেরও বেশি হ্যান্ডলিং ক্ষমতাসম্পন্ন বন্দরে পরিণত হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর এশিয়ার ৬৯টি কনভেনশনাল ও সেমি অটোমেটেড বন্দরের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে। ইংরেজরা ১৮৬০ সালে এ বন্দরে দুটি মেকসিফট জেটি তৈরি করে। ১৮৮৭ সালে প্রণয়ন করে ‘চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার অ্যাক্ট’। পরের বছর ২৫ এপ্রিল এ আইনের অধীনে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় এ বন্দরের। ওই দিনটিকে বন্দর দিবস হিসেবে উদযাপন করে আসছে কর্তৃপক্ষ। সমৃদ্ধির স্বর্ণদ্বারখ্যাত দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় এবারও উদযাপিত হতে যাচ্ছে বন্দর দিবস। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিং প্রবৃদ্ধি ৮ থেকে সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ বেড়েছে। ক্রমবর্ধমান কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সঙ্গে সমন্বয় রেখে জিসিবি এলাকার পুরনো জেটিগুলোকে তৃতীয় কনটেইনার টার্মিনালে রূপান্তরের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আনুমানিক ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫ লাখ টিইইউএস ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন টার্মিনালটির নাম রাখা হয়েছে কর্ণফুলী কনটেইনার টার্মিনাল (কেসিটি)। সরাসরি নৌরুটে কনটেইনার চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণ করে ইনল্যান্ড কনটেইনার সার্ভিসের দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে আরও চার-পাঁচ বছর আগে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল সার্ভিস চালু হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম বলেন, একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চট্টগ্রাম বন্দরের আধুনিকায়ন, যন্ত্রপাতি সংযোজন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বে-টার্মিনাল, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি), লালদিয়া টার্মিনাল ও নিউমুরিং ওভার ফ্লো ইয়ার্ড নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বে-টার্মিনাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পভুক্ত হয়েছে। বে-টার্মিনালের জন্য প্রস্তাবিত ৯০৭ একর জমির মধ্যে মাত্র ৬৮ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন। বাকি ৮৩৯ একর খাস জমি। ২০১৩ সালে ফিজিবিলিটি স্টাডির মধ্য দিয়ে বে-টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু হয়।

 মূল কাজের মধ্যে কনটেইনার ইয়ার্ড ও ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু হবে আগে।

 নির্মাণ শেষে বন্দরের ভিতর থেকে ডেলিভারি পয়েন্ট বে-টার্মিনাল এলাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। তখন বন্দরের কনটেইনার জট, জাহাজ জট, চট্টগ্রাম নগরীর যানজট সমস্যার সহজ সমাধান হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর