বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

সিপিডিকে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বললেন অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘সিপিডি তাদের কাজ করছে, আমরা আমাদের কাজ করছি।’ সিপিডির তথ্য-উপাত্ত চেয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের চেয়ে বড়। সিপিডি তাদের বক্তব্যের লিখিত ব্যাখ্যা দিক।’ সরকারের ১০০ দিন নিয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বেশ কিছু সূচক বাস্তবসম্মত নয় এমন মন্তব্য করেছে সিপিডি। এসব বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের কাছে যা আছে এগুলো আগে আমাকে দিতে বলেন। তাদের থেকে আমরা বড়। তাদের কাছে কী আছে সেগুলো আমাদের দিক।’

এর আগে মঙ্গলবার সিপিডির এক সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান সরকারের ১০০ দিন বিষয়ে সংস্থাটির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাময়িক হিসাব করা ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ঈর্ষণীয়। উৎপাদন খাতের ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধিই জিডিপির প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি। তবে সিপিডি এই প্রবৃদ্ধির হিসাব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে। সিপিডির মতে, এই হিসাব বাস্তবসম্মত নয়। অর্থনীতির সূচকগুলোর সঙ্গে এর মিল নেই। জিডিপির হিসাব আরও গভীরে গিয়ে করা উচিত। তা না হলে নীতি নির্ধারণে সমস্যা হবে।

সিপিডি কিছু অসংগতি তুলে ধরে জিডিপির হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সংস্থাটি বলেছে, উৎপাদন খাত নির্ভর প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বিবিএসের হিসাব, চামড়া খাতে প্রথম প্রান্তিকে সাড়ে ৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অথচ রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রবণতা রয়েছে। রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি মাত্র ৬ শতাংশ। কিন্তু চলতি মূল্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দেখানো হয়েছে ১২ দশমিক ৭ শতাংশ। আবার গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহে প্রবৃদ্ধি সাড়ে ১২ শতাংশ। কিন্তু গতবার একই সময়ে এ খাতে প্রবৃদ্ধি ছিল সাড়ে ১৮ শতাংশ। সিপিডির মতে, বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী এ প্রবৃদ্ধি অর্জনের মানে হলো, শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা বেড়েছে। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘এ প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগের ভূমিকা দেখিনি। আবার কর আহরণের শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি নেই। ব্যক্তি খাতের ঋণপ্রবাহ বেশি হয়নি। মূলধনি পণ্যের আমদানিও বেশি দেখা যায়নি। ব্যাংক খাতেও চাঞ্চল্য নেই।’ তবে সরকারের কিছু ভালো উদ্যোগের বিষয়ে জানায় সিডিপি। এই ভালো উদ্যোগগুলোর মধ্যে আছে, বিদেশি কর্মজীবীদের বিষয়ে জরিপ চালিয়ে করের আওতায় আনার উদ্যোগ, মানি লন্ডারিং বিধিমালা জারি করা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপনকে করের আওতায় আনা।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর