শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

বসুন্ধরায় ইন্দোনেশিয়া ফেয়ার ও আইসক্রিম উৎসব শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

বসুন্ধরায় ইন্দোনেশিয়া ফেয়ার ও আইসক্রিম উৎসব শুরু

রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় গতকাল ইন্দোনেশিয়া ফেয়ারের উদ্বোধন শেষে অতিথিদের নিয়ে বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা পি সোমারনো -বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘ইন্দোনেশিয়া ফেয়ার-২০১৯’ ও ঈগলুর ‘বৃহত্তম আইসক্রিম উৎসব’। গতকাল সকাল থেকে আইসিসিবির দুটি হলে শুরু হয় এ আয়োজন। চলবে আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত।

গুলনকশা হলে প্রধান অতিথি হিসেবে ইন্দোনেশিয়া ফেয়ারের উদ্বোধন করেন বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম। এ সময় ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র সেক্রেটারি জেনারেল মায়েরফাস, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা পি সোমারনো প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মেলায় হস্তশিল্প, পোশাক, গয়না, কসমেটিক্স, প্রক্রিয়াজাত খাবার, অটোমোটিভ, পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতের ৪০টির বেশি ইন্দোনেশীয় কোম্পানি দেড় শতাধিক স্টলে তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে। মেলা বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিনা দর্শনী মূল্যে সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মাঝে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ফ্যাশন শো। প্রায় একই সময়ে পুষ্পগুচ্ছ হলে শুরু হয়েছে ঈগলুর আইসক্রিম উৎসব। আয়োজকরা জানান, উৎসব চলাকালীন ৫০০ টাকার এন্ট্রি ফিতে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ইচ্ছামতো খাওয়া যাবে হরেক রকম আইসক্রিম। শিশুদের জন্য এন্ট্রি ফি ৩০০ টাকা। তবে বিকাশে পেমেন্ট করলে, রবির ধন্যবাদ গ্রাহক হলে বা শিক্ষার্থীরা আইডি কার্ড প্রদর্শনে মিলবে ২০ শতাংশ ছাড়। আইসক্রিম উৎসবে আগতদের জন্য থাকছে জমজমাট কনসার্টের আয়োজন। উৎসব মাতাবে নগর বাউল জেমস, অর্ণব, আর্টসেল, মিনার আর সোলস। ইন্দোনেশিয়া ফেয়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানেও তারা বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। তবে দুই দেশের মধ্যে এখনো বাণিজ্য ঘাটতি অনেক বেশি। এটা কমানো প্রয়োজন। তিনি ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এখানে শ্রমমূল্য কম। বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে শুরু করে বিনিয়োগের সব ধরনের পরিবেশ রয়েছে। বাংলাদেশ মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করে। এখানকার ওষুধ শতাধিক দেশে রপ্তানি হয়। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে। গত ১০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি দৃষ্টান্তমূলক। বর্তমানে জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রায় ৮ শতাংশ। ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে উভয় পক্ষই লাভবান হবে।  ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা পি সোমারনো বলেন, শুধু ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ীদের পণ্য প্রদর্শনই নয়, বাংলাদেশে বিনিয়োগে তাদের আগ্রহী করে তোলাও এই মেলার অন্যতম উদ্দেশ্য। মেলায় দুই দেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকছে।

 যেখানে বাংলাদেশে ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ীরা অংশীদার খুঁজে নেবেন। আমাদের লক্ষ্য কী করে দুই  দেশের মধ্যকার ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও জোরদার করা যায়। আমরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চাই। ইন্দোনেশিয়া দূতাবাস এ মেলার আয়োজন করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর