সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা
তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা

চিকিৎসক ছাড়াই চলছে ৭২ ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র

গাইবান্ধা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র

গৌতমাশিস গুহ সরকার, গাইবান্ধা

গাইবান্ধায় স্বাস্থ্য বিভাগের ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো চিকিৎসকবিহীন অবস্থায় চলছে। জেলা সদরসহ ৭ উপজেলার ৮২ ইউনিয়নে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও চিকিৎসক নেই ৭২টি কেন্দ্রেই। আর ৪৮টি কেন্দ্রে নেই কোনো অবকাঠামোও। যে ১২টি কেন্দ্রে চিকিৎসক দেওয়া আছে সেখানেও তাদের উপস্থিতি নেই। ফলে এখানে তৃণমূল পর্যায়ে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা বেহাল অবস্থায় রয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, অধিকাংশ উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক না থাকায় সেখানে দায়িত্বরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার বা ফার্মাসিস্টরা চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত আছেন। গাইবান্ধা সদরের দারিয়াপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট রেজাউল করিম বলেন, ‘ডাক্তার না থাকায় শুধুমাত্র জ্বর, সর্দি, পেটের অসুখ, আমাশয়, কোষ্টকাঠিন্য, কৃমি, ছোটখাটো ইনফেকশনের চিকিৎসা ও ওষুধ আমরা দিয়ে থাকি।’ স্থানীয় চা দোকানি বাদশা মিয়া বলেন, ‘ডাক্তার না থাকায় আমরা কেন্দ্রে যাই না।’ এ ছাড়া সদরের বাদিয়াখালী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. ডায়না সরকার কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন না করায় তার উপস্থিতির দাবিতে  গত ১৮ এপ্রিল মানববন্ধনও করেছেন এলাকাবাসী।

সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ও ভরতখালী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া, গজারিয়া, ফজলপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ও বনগ্রাম কেন্দ্র, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ও ধুপনী কঞ্চিবাড়ি কেন্দ্র, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ কেন্দ্রে চিকিৎসক দেওয়া হলেও তাদের অনুপস্থিতির অভিযোগ রয়েছে। এদিকে বোয়ালী, রামচন্দ্রপুর, সাহাপাড়া, গিদারী, কুপতলা, ঘাগোয়াসহ ৪৮টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র কাগজে-কলমে থাকলেও কোনো অবকাঠামো নেই। ফলে এলাকাবাসী কোনোরকমের সেবা পাচ্ছেন না।

 এ কেন্দ্রগুলোর জনবল সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ বলেন, ‘চিকিৎসক চেয়ে প্রতিনিয়ত ওপরে লেখালেখি করা হচ্ছে। আর অবকাঠামো নির্মাণের বিষয়টি কেন্দ্রে প্রক্রিয়াধীন আছে।’

সর্বশেষ খবর