রংপুরে গণশুনানিতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলামের বিআরটিসি বাস সরবরাহের প্রতিশ্রুতি প্রদানের পাঁচ দিনের মধ্যে রংপুরে চারটি নতুন বাস আনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

এর মধ্যে প্রথম চালানে দুটি দ্বিতল বাস আনার জন্য স্থানীয় বিআরটিসি ডিপোর প্রতিনিধিরা ঢাকায় রওনা হয়েছেন। আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে আজ সোমবার নতুন বাসসহ ডিপোতে তাদের ফিরে আসার কথা রয়েছে। নগরবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতল বাস দুটি সিটি করপোরেশন এলাকায় চলাচলের জন্য আনা হচ্ছে। বিআরটিসি রংপুর ডিপো সূত্রে জানা যায়, ২০ এপ্রিল রংপুর সড়ক ভবন চত্বরে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর রংপুর জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসি রংপুর ডিপোর কার্যক্রম সম্পর্কে গণশুনানিতে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম। তিনি বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির মধ্যে দ্রুত নতুন বিআরটিসি বাস সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেন। পরে বিআরটিসির  চেয়ারম্যান ফরীদ আহমেদ ভূঁইয়ার নির্দেশে ২৫ এপ্রিল নতুন বাস বরাদ্দের চিঠি ইস্যু করা হয়। এতে বিআরটিসি রংপুর ডিপোকে (দুটি দ্বিতল এবং দুটি একতলা) চারটি বাসের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং তা বুঝে নেওয়ার জন্য বলা হয়। বিআরটিসি রংপুর ডিপোর ম্যানেজার (অপারেশন) ওমর ফারুক  মেহেদী বলেন, ২৬ এপ্রিল পত্রের মাধ্যমে চারটি বাস বরাদ্দের বিষয়টি অবগত হয়েছি। ইতিমধ্যে ঢাকায় লোক পাঠিয়েছি। আশা করি সোমবার প্রথম দুটি দ্বিতল বাস ডিপোতে আসবে। তিনি বলেন, এই দুটি বাস সিটি সার্ভিস হিসেবে সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রায় ১৬ কিলোমিটারে চলাচল করবে। বাসগুলোতে নিচতলায় ৩২ জন এবং দোতলায় ৪৩ জন যাত্রী বসতে পারবেন। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আসন সংরক্ষিত থাকবে। বাসগুলো সিসি ক্যামেরাসহ আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ। বাকি দুটি একতলা বাস স্বল্পসময়ে নিয়ে আসা হবে।

রংপুর সড়ক ভবনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ফকির আবদুর রব বলেন, সিটি করপোরেশন এলাকার সড়কগুলো চার লেনবিশিষ্ট এবং বাস চলাচলের উপযোগী। তাই নিয়মিত বাস চলাচল করলে সড়কের কোনো ক্ষতি হবে না।

রংপুর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটু বলেন, সরকারের এই উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। সিটি বাস চালু হলে অবশ্যই সবশ্রেণির মানুষ উপকৃত হবেন। তবে নগরীর ভিতরে পরিকল্পনা করে সিটি বাস প্রবেশ করাতে হবে। তা না হলে অসহনীয় যানজট সৃষ্টি হবে।