মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

অভিমানী নেতাদের ফেরানো হচ্ছে

রাজশাহী বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় আসছেন প্রবীণরাও

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

অভিমানী নেতাদের ফেরানো হচ্ছে

অ্যাডভোকেট আবদুল হাই ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি। এখন শুধু আদালত আর বাড়ি পথে চলাচল তার। দলের সঙ্গে নেই বললেই চলে। অ্যাডভোকেট কবীর হোসেন দলের প্রবীণ নেতা। তিনবার এমপি ও একবার প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এখনো চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। তিনিও দলের কোনো কর্মসূচিতে আসেন না। নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে অথবা অভিমান করে অনেকে বিএনপির রাজনীতি থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। বিএনপির প্রবীণ ও অভিমানী নেতাদের দলে ফেরাতে ও সক্রিয় করতে তৎপরতা শুরু করেছে হাইকমান্ড। জেলা পর্যায়ে তালিকা করা হচ্ছে কারা প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে বিএনপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দলের শীর্ষ নেতার নির্দেশে এই তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু জানান, নেতৃত্বের প্রতিযোগিতার কারণে অথবা অভিমানে দলের অনেক নেতা নিজেদের গুটিয়ে রেখেছেন। প্রতিষ্ঠার সময় যারা ছিলেন, তাদের অনেককে দূরে ঠেলে রাখা হয়েছে। সবাইকে আবারও সক্রিয় করতে তারা কাজ শুরু করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক নেতা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হয় রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপির নতুন কমিটি। এই দুই কমিটির চার পদের তিনটিতেই নতুনদের নেতৃত্ব দেওয়া হয়। এরপর থেকেই রাজশাহী বিএনপিতে শুরু হয় কোন্দল। এ কোন্দল ছড়িয়ে পড়ে অঙ্গ সংগঠনের মধ্যেও। জেলা কমিটিতে নাদিম মোস্তফাকে বাদ দিয়ে তোফাজ্জল হোসেন তপুকে সভাপতি আর মতিউর রহমান মন্টুকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তপু-মন্টু দায়িত্ব নেওয়ার পর দলকে সংগঠিত করার চেয়ে বিভক্ত করেছেন-এমন অভিযোগ নেতাদের। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নাদিম মোস্তফা জানান, গত সংসদ নির্বাচনে জেলা কমিটির যে ভূমিকা থাকার কথা ছিল, তা রাখেনি। বরং কিছু ক্ষেত্রে দলকে বিভক্ত করতে উৎসাহ দিয়েছেন। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু জানান, শুধু রাজশাহী নয়, বিভাগের অন্য জেলাগুলোতেও কোন্দলের কারণে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব কোন্দল মিটিয়ে দলকে সংগঠিত করতে কেন্দ্র থেকে কাজ চলছে।

সর্বশেষ খবর