মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

গরমে ওষুধের মান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের গুণগত মান কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে তারা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ওষুধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। বরিশালে এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ওঠা-নামা করছে সর্বোচ্চ ৩৬ ডিগ্রি ৬ সেলসিয়াসের মধ্যে। বাজারে পাওয়া অধিকাংশ ওষুধের প্যাকেটে ২০ অথবা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু গত এক মাসে বরিশালের তাপমাত্রা ছিল গড়ে ৩৫-৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। কিছু দোকানে রেফ্রিজারেটর থাকলেও বিপুল পরিমাণ ওষুধ রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ওষুধের গুণগত মান সঠিক             থাকছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি (হৃদরোগ) বিভাগের প্রধান ডা. জাকির হোসেন বলেন, হৃদরোগের ওষুধগুলো সাধারণত একটু স্পর্শকাতর। এগুলো যে তাপমাত্রায় রাখার কথা বলা হয় সেই তাপমাত্রায়ই রাখা উচিত। তা না হলে এর কার্যকারিতার ওপর প্রভাব পড়বে। এ ব্যাপারে ওষুধের দোকানগুলোকে সতর্ক থাকা দরকার। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় এই স্পর্শকাতর ওষুধ রাখলে ওষুধের কার্যকারিতা কমতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করেন।

এদিকে গত কয়েক দিনে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে, সদর রোড, কবি জীবনানন্দ দাশ সড়ক, হাসপাতাল রোড, নতুনবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেক ফার্মেসিতেই রেফ্রিজারেটর নেই। যাদের আছে তাদের পক্ষেও এত বিপুল পরিমাণ ওষুধ রেফ্রিজারেটরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।

বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ফার্মাসিউটিক্যাল প্রফেশনাল বরিশাল অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক ও কেমিস্ট কাজল ঘোষ বলেন, সাধারণত ওষুধ প্রস্তুতের সময় নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় উৎপাদন করা হয়। সারা বিশে^র সঙ্গে তাল মিলিয়েই ওষুধ প্রস্তুত করা হয়। যে ওষুধ যে তাপমাত্রায় রাখার নির্দেশনা আছে সেই তাপমাত্রায় রাখা দরকার। বিশেষ করে সেফরাডিন এবং ভিটামিন জাতীয় ওষুধ ২৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে রাখতে বলা হয়। তাপমাত্রা বেশি বেড়ে গেলে ওষুধের গুণগত মান খর্ব হতে পারে।

সর্বশেষ খবর