বুধবার, ১ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে পাঁচ পণ্য নিয়ে টিসিবির ১০ ট্রাক ৩২ স্পটে

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) নিত্যপ্রয়োজনীয় পাঁচটি পণ্য বিক্রি শুরু করেছে। ভ্রাম্যমাণ ১০টি ট্রাক নগরের ৩২ স্পটে নিয়মিত এসব পণ্য বিক্রি করছে। মাহে রমজান সামনে রেখে ভোগ্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও বাজার স্থিতিশীল রাখতে টিসিবি এ উদ্যোগ নিয়েছে। পাঁচ পণ্যের মধ্যে আছে ছোলা, সয়াবিন তেল, খেজুর, চিনি ও মসুর ডাল। অভিযোগ আছে, প্রতি বছর রমজান এলে টিসিবি বাজারে পণ্য বিক্রি শুরু করে। অথচ এ সময় ডিলারদের সময়মতো পাওয়া যায় না, টিসিবির পণ্য অন্যত্র বিক্রি করে ফেলা এবং নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দরে বিক্রি করা হয়। কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ‘গত বছরের অভিজ্ঞতা হলো টিসিবির ডিলাররা ৫ রমজান পর্যন্ত মাঠে ছিলেন। এরপর তাদের আর দেখা যায়নি। তাই আমাদের দাবি, তারা যেন ঈদের আগ পর্যন্ত মাঠে থাকেন এবং ডিলারদের কঠোর মনিটরিংয়ের মধ্যে রাখেন। অন্যথায় অনিয়ম করার সুযোগ থাকবে।’ টিসিবি চট্টগ্রাম অফিসসূত্রে জানা যায়, ২৩ এপ্রিল নগরের ৩২ পয়েন্টে ১০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে তেল, চিনি, ছোলা ও মসুর ডাল বিক্রি শুরু হয়। আগামীকাল থেকে যোগ হবে খেজুর।

 একজন ক্রেতা একবার সয়াবিন তেল ও চিনি সর্বোচ্চ ৫ কেজি, ছোলা ও মসুর ডাল ৪ কেজি এবং খেজুর ১ কেজি কিনতে পারবেন। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি করা হচ্ছে ৮৫, প্রতি কেজি চিনি ৪৭, মসুর ডাল ৪৪, ছোলা ৬০ ও খেজুর ১৩৫ টাকা। টিসিবির নির্ধারিত ১০ জন ডিলার এসব পণ্য বিক্রি করছেন। একজন ডিলারকে দৈনিক ৫০০ কেজি চিনি, ৩০০ কেজি মসুর ডাল, ৩০০-৪০০ কেজি ছোলা, ৪০০-৫০০ লিটার সয়াবিন তেল ও ৫০ কেজি খেজুর দেওয়া হচ্ছে। ৩ জুন পর্যন্ত টিসিবির এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। টিসিবি চট্টগ্রাম কার্যালয়ের প্রধান জামাল উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘রমজানে অতিরিক্ত চাহিদাকে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য সংগ্রহ করেছি। টিসিবির পাঁচটি পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি শুরু হয়েছে। ৩ জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে এ কার্যক্রম।’ টিসিবির পণ্য খোলাবাজারে পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি এখন প্রায়ই অসম্ভব। কারণ পণ্য সরবরাহের সঙ্গে সঙ্গে ১০টি ডিলারের নাম, সরবরাহকৃত পণ্যের পরিমাণসহ সামগ্রিক তথ্য জেলা প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে চলে যায়। তারা টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম তদারকি করছেন। ফলে খোলাবাজারে টিসিবির পণ্য পাওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে।’ জানা যায়, প্রতি বছর রমজান শুরুর পর থেকেই ভোগ্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে অস্বাভাবিক মাত্রায়। ক্রেতা পর্যায়ে দেখা দেয় চরম অস্থিরতা। এ সময় পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে পণ্যের মূল্যের ব্যবধান ব্যাপক হয়ে যায়। খুচরা পর্যায়ে দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। জেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করেও এর লাগাম টানতে পারে না। খোলাবাজারে টিসিবির ভোগ্যপণ্য বিক্রি সরকারের ইতিবাচক উদ্যোগ বলে মনে করছেন ভোক্তারা।

সর্বশেষ খবর