শুক্রবার, ৩ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

পরিবহন খাতে ১০ নম্বর সতর্ক সংকেত চলছে

-শাজাহান খান

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ যেভাবে ভয়াবহতা নিয়ে হাজির হতে যাচ্ছে, পরিবহন খাতে এমন ভয়াবহতা ও বিভিন্ন সমস্যা অনেক দিন ধরেই বিদ্যমান। বাংলাদেশের পরিবহন খাতে এখন ১০ নম্বর সতর্ক সংকেত চলছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের সভাপতি সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। গতকাল দুপুরে রাজধানীর কাজী বশীর মিলনায়তনে পরিবহন সেক্টরের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মালিক-শ্রমিকদের এক যৌথ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সভায় তিনি বলেন, বিভিন্ন দুর্ঘটনার কারণে মালিক-শ্রমিকদের কোটি কোটি টাকা জরিমানা ও যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হচ্ছে। এমন চলতে থাকলে এ খাতের সংশ্লিষ্টদের ভিটেমাটি বিক্রি করতে হবে। ১০ নম্বর সতর্ক সংকেত মোকাবিলায় মালিক-শ্রমিকদের নিজেদের কিছু দুর্বলতা সংশোধন করতে হবে। ভুয়া লাইসেন্স ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা এর মধ্যে অন্যতম। চালকদের সাবধানে গাড়ি চালানোর শপথ নিতে হবে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, পরিবহন খাত স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি সমস্যার মধ্যে আছে। এখন গাড়ি চালালেও, না চালালেও জবাবদিহি করতে হয়।

সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, গাড়ির সব কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও জেল-জরিমানা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে আমরা কাজ করছি। সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, চেকপোস্টে একবার চেক করে স্লিপ দিলে অন্য চেকপোস্টে চেক না করলেও হয়। কিন্তু প্রতিটি চেকপোস্টে চেকিংয়ের নামে হয়রানি করা হচ্ছে। সারা দেশে দেড় কোটির বেশি গাড়ি চলছে, এর মধ্যে ৩৯ লাখ গাড়ি বৈধ। এ কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে। পরিবহন সেক্টরে ধর্মঘট চাই না, কিন্তু আমরা বাধ্য হচ্ছি। ইচ্ছামতো জেল-জরিমানা করে আমাদের বিষিয়ে তুলছে। ফলে এ সেক্টরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর