শিরোনাম
শনিবার, ৪ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা
উত্তরায় দুই গৃহকর্মীর মৃত্যু

কোনো কূলকিনারা হয়নি তদন্তের

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোনো কূলকিনারা হয়নি তদন্তের

রাজধানী উত্তরার জসীমউদ্দীন রোডের একটি বাসায় দুই গৃহকর্মীর মৃত্যু ঘটনার তদন্তে কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার দুই দিন পার হলেও অগ্রগতি কেবল অপমৃত্যু মামলা। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারছেন না তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। উত্তরার জসীমউদ্দীন সড়কের ৪০ নম্বর বাড়ির ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলার মালিক শিল্পপতি আবদুল মাজেদের বাসায় কাজ করত দুই গৃহকর্মী হালিমা (১৪) ও রুবি (১৭)। রুবি লক্ষ্মীপুরের কড়ই তলা গ্রামের এবং হালিমা গাজীপুরের কোনাবাড়ির আমবাগান এলাকার বাসিন্দা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, উত্তরার জসীমউদ্দীন সড়কের ৪০ নম্বর বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ওই দিন রাত ৩টা ৩২ মিনিটে পাঁচতলার ফ্ল্যাটের দরজা খুলে হালিমা (১৪) ও রুবি (১৭) সিঁড়ি বেয়ে  বাড়ির ছাদে যায়। দরজা খোলার পর একজন তার স্যান্ডেল হাতে নেয়। দুজনের কাঁধেই দুটি স্কুল ব্যাগ ছিল। তবে ছাদের কোনো ফুটেজ ওই সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়নি। এই সময়ের আগে ও পড়ে ওই বাড়ির কোনো লোককেও উপরে উঠতে বা নামতে দেখা যায়নি।  কর্মকর্তা আরও বলেন, বিভিন্ন সোর্স থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করেও দেখা গেছে তারা নিজেরাই হয়তো পালাতে যাচ্ছিল। তবে দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। এরপরও আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি কেউ তাদের ফেলে দিয়েছে কি না? উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল বলেন, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই নিহত এক গৃহকর্মী হালিমার মা খাদিজা বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন।

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বলা যাবে। দুই গৃহকর্মীর সঙ্গে থাকা দুটি স্কুল ব্যাগের একটির মধ্যে তাদের কাপড় ছিল এবং অপরটিতে তিন ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ও কয়েকটি স্বর্ণের রিং এবং নগদ আট হাজার টাকা ছিল। সেগুলো বর্তমানে থানা হেফাজতে রয়েছে।

শিল্পপতি আবদুল মাজেদের ভাগিনা জামিউল হাসান বলেন, ‘দুই গৃহকর্মীর মধ্যে রুবি প্রায় তিন এবং হালিমা দুই বছর ধরে এই বাসায় কাজ করছিল। পরিবারের সদস্যদের মতোই ওরা এই বাসায় থাকত। কিন্তু কেন ওরা এভাবে পালাতে গেল সেটি বুঝতে পারছি না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর