শনিবার, ৪ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা
বিবিসিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

শামীমা বাংলাদেশে গেলে মৃত্যুদণ্ড

প্রতিদিন ডেস্ক

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের জিহাদি বধূ শামীমা বেগম যদি বাংলাদেশে গিয়ে হাজির হন, তাহলে তার মৃত্যুদ  হবে। লন্ডনে বিবিসি বাংলার মিজানুর রহমান খানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আবদুল মোমেন বলেন, সন্ত্রাসের প্রশ্নে বাংলাদেশ ‘জিরো টলারেন্স’ বা একেবারেই বরদাশত না করার অবস্থান নিয়েছে। এ ধরনের অপরাধীর শাস্তি মৃত্যু।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম মাত্র ১৫ বছর বয়সে সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে সিরিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি কুর্দি মিলিশিয়াদের হাতে ধরা পড়ার পর তিনি এখন সেখানে একটি বন্দী শিবিরে আটক রয়েছেন। এরই মধ্যে ব্রিটিশ সরকার তার নাগরিকত্ব বাতিল করেছে। কিন্তু কাউকে রাষ্ট্রবিহীন করা আন্তর্জাতিক আইনের বরখেলাপ-সে সময় এই বিতর্ক উঠলে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল শামীমা বেগম তার বাবা-মায়ের সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিতে পারেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, ‘শামীমা বেগমকে নাগরিকত্ব  দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। শামীমা  বেগমকে আমরা চিনি না। শামীমা বেগমের জন্ম ব্রিটেন। ব্রিটেনে বড় হয়েছে, শিক্ষা-দীক্ষা ব্রিটেনে। সে কোনোদিন বাংলাদেশে যায়নি। কখনো বাংলাদেশের নাগরিকত্বও চায়নি। তার বাব-মাও ব্রিটিশ নাগরিক।’পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শামীমা বেগমের দায়িত্ব ব্রিটিশ সরকারের এবং তাকে নিয়ে তারা কী করবে সেটা তাদেরই দায়িত্ব¡। ‘তাকে আমাদের সঙ্গে জড়ানো খুবই দুঃখজনক।’ এর পরও যদি শামীমা বেগম বাংলাদেশে গিয়ে হাজির হয়, তাহলে সরকার কী করবে? বিবিসির এই প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেন, ‘আইন অনুযায়ী শাস্তি দেব, জেলে নিয়ে যাব। সর্বোচ্চ শাস্তি হবে তার।’

সর্বশেষ খবর