বেদখলে থাকা নগরীর খালগুলো উদ্ধারে অভিযানে নামছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। জলাবদ্ধতা নিরসনে ‘মেগা প্রকল্প’ বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী গতকাল এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন। ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময় সভায় ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড দামপাড়া আর্মি ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি বলেন, মেগা প্রকল্পের আওতাধীন খালগুলোর ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শিগগিরই শুরু করবে সেনাবাহিনী। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। এ ছাড়া যত্রতত্র ময়লা ফেললে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, অনেক খাল থেকে ময়লা অপসারণ করা হয়েছে। কিন্তু কিছু দিন পর আবারও খালগুলো ময়লায় ভরাট হচ্ছে। এক্ষেত্রে জনসচেতনতা জরুরি। স্থানীয়ভাবে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে একাধিক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতার প্রকোপ কমাতে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নিয়ে চার ধাপে বৈঠক করা হয়েছে। সভায় জলাবদ্ধতা নিরসনে তাদের পরিকল্পনাগুলো জমা দিতে বলা হয়েছে। সভায় স্লাইড শোর মাধ্যমে জলাবদ্ধতার ১২টি কারণ, প্রকল্পের আওতায় ৮টি কাজ ও চলমান কাজের সর্বশেষ তথ্য জানানো হয়। এ ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নে ময়লা না ফেলার জন্য জনসচেতনতা তৈরি, জরুরি ভিত্তিতে ব্রিজ বা কালভার্ট থেকে ইউটিলিটি লাইন অপসারণ, সমন্বয়ের মাধ্যমে অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও জলাবদ্ধতা সমস্যা স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে প্রস্তাবিত ৪০টি টাইডাল রেগুলেটর একই সঙ্গে নির্মাণের সুপারিশ করা হয়। সভায় ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল আবু সাদাত মোহাম্মদ তানভীর, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, অন্যান্য প্রকল্প কর্মকর্তা ও সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
