বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

সোনার চালানসহ চীনের নাগরিক গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চীনের নাগরিক ফ্যান রংগুই। কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি কিংবা ব্যবসা না করলেও বাংলাদেশে প্রতি মাসে তিন থেকে চারবার আসেন শুধু বেড়াতে। গত ১৬ মাসে ব্যক্তিগত সফরে ৪৩ বার বাংলাদেশ আসেন তিনি, যা দেখে ‘চক্ষু চড়কগাছ’ হয়ে ওঠার অবস্থা কাস্টম কর্মকর্তাদের। কর্মকর্তাদের ধারণা, প্রতিটি সফরে সোনার চালান নিয়ে এসেছেন এই ব্যক্তি। গতকালও চার্জার লাইটের ভিতরে করে ২৪ পিস সোনার বার পাচার করার সময় তাকে গ্রেফতার করে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টমস। পুলিশ              ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের ধারণা, গ্রেফতার হওয়া ফ্যান রংগুই আন্তর্জাতিক সোনা পাচার চক্রের সদস্য। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টমসের উপকমিশনার নুর উদ্দিন মিলন বলেন, ‘আটকের পর তার পাসপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত ১৬ মাসে ফ্যান রংগুই ৪৩ বার বাংলাদেশে এসেছেন। বেশিরভাগই তিনি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে প্রবেশ করেছেন। কী কারণে তিনি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন তা তিনি জানাতে পারেননি। বাংলাদেশে ব্যবসা করার কথা দাবি করলেও কোথায় এবং কার সঙ্গে ব্যবসা করেন তা জানাতে পারেননি।’

তিনি বলেন, ‘ধারণা করছি ফ্যান রংগুই আন্তর্জাতিক সোনা পাচার চক্রের সদস্য। অতীতের সব রেকর্ড পর্যালোচনা করলে আশা করছি পুরো চক্রের সন্ধান মিলবে।’

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কর্ণফুলী জোনের সহকারী কমিশনার জাহেদুল আলম বলেন, ‘অল্প সময়ের মধ্যে যতবার তিনি বাংলাদেশে এসেছে তা অস্বাভাবিক। ধারণা করছি প্রতিবারই তিনি সোনার চালান নিয়ে এসেছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদ করার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব।’

কাস্টমসের এক কর্মকর্তা বলেন, ফ্যান রংগুইর মুঠোফোন চেক করার জন্য পাসওয়ার্ড চাওয়া হয়। কিন্তু তিনি পাসওয়ার্ড দেননি। তাই তার মুঠোফোনে কী রয়েছে তা জানতে পারেনি কাস্টমস। তার মুঠোফোন চেক করা গেলে অনেক তথ্য জানা সম্ভব হবে।

কাস্টমস কর্মকর্তা বলেন, গতকাল সকালে দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বিজি-১৪৮-এ শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন ফ্যান রংগুই। বিমান থেকে নামার পর ওই যাত্রীর পণ্যসামগ্রী স্ক্যানিংয়ের সময় চার্জার লাইটে নিষিদ্ধ ধাতব পদার্থ ধরা পড়ে। বিষয়টা সন্দেহ হলে কাস্টম কর্মকর্তারা তাকে সন্দেহ করেন। পরে চার্জার লাইটটি ভেঙে তাতে সোনার বারের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এতে ২৪টি বার পাওয়া যায়, যার ওজন প্রায় তিন কেজি। উদ্ধার সোনার আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।

সর্বশেষ খবর