বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

কোন এলাকার পানি অনিরাপদ জানতে চায় হাই কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকায় ওয়াসার কোন কোন এলাকার পানি সবচেয়ে বেশি অনিরাপদ তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। গতকাল এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। পরে রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ জানান, পানিতে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি রয়েছে এমন প্রতিবেদন যুক্ত করে আমি একটি রিট করি। ওই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৬ নভেম্বর রাজধানী ঢাকায় পাইপের মাধ্যমে সরবরাহকৃত ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। এছাড়া কমিটিকে ২ মাসের মধ্যে পানি পরীক্ষা করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু পানি পরীক্ষার প্রতিবেদন দাখিলের পরিবর্তে গতকাল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কমিটি গঠন ও কমিটির কার্যপরিধি তুলে ধরে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। এতে ওয়াসাকে মোট ১১টি জোনে ভাগ করে পানি পরীক্ষা করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া অর্থায়ন পাওয়া গেলে ৪ মাসের মধ্যে পানি পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া যেতে পারে বলে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। এ অবস্থায় মামলাটি বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কার কথা তুলে ধরলে আদালত কোন কোন এলাকার পানি বেশি দূষিত ও বেশি অনিরাপদ সেই সব এলাকা চিহ্নিত করে জানাতে বলেছে। এছাড়া অর্থায়ন কে করবে এবং কী পরিমাণ অর্থায়ন প্রয়োজন হবে সেটা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজুকে জানাতে বলেছে আদালত। আদালত আগামী সোমবার এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছে। গত ১১ অক্টোবর বিশ্বব্যাংক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের সাড়ে ৭ কোটি মানুষ অনিরাপদ উৎসের পানি পান করে। ৪১ শতাংশ পানির নিরাপদ উৎসগুলোতে রয়েছে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া। ১৩ শতাংশ পানিতে রয়েছে আর্সেনিক। পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা পানিতে এই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৮২ শতাংশ। ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পত্র-পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন যুক্ত করে হাই কোর্টে রিট আবেদন দাখিল করা হয়।

সর্বশেষ খবর