বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

নির্ধারিত দাম মানছে না কেউ

মাংসের দাম বেশি নেওয়ায় ঢাকায় ১৮ দোকানকে জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি দাম নেওয়ায় রাজধানীর সুপারশপসহ ১৮টি দোকানকে প্রায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর অভিযান চালানোর সময় এই জরিমানা করে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সংস্থা দুটি ঢাকার সুপার শপ আগোরা, বেঙ্গলমিটসহ ১৮টি মাংসের দোকানকে মোট এক লাখ ৯৮ হাজার টাকা জরিমানা করে। এ ছাড়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযানে মোট জরিমানা করা হয় ৭০ হাজার টাকা। গতকাল বেলা ১১টার দিকে নির্ধারিত দামের থেকে বেশি দামে গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগে রাজধানীর কাকরাইলের আগোরা আউটলেটকে ৫০ হাজার টাকা এবং শান্তিনগরের এক মাংসের দোকানিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদ- দিয়েছে ডিএসসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে আরও চারটি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়। কাকরাইলের অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান এবং শান্তিনগরের অভিযানে নেতৃত্বে ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা। সূত্র জানায়, রমজানে বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার এবং কয়েকটি সুপার শপে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় গরুর মাংসে অতিরিক্ত দাম রাখায় সেগুনবাগিচার বেঙ্গলমিটকে এবং হাজী আফজাল মাংস বিতানকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ অভিযানে নেতৃত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, কয়েকটি অভিযোগ পাওয়ার পরই ওইসব মাংসের দোকান এবং সুপারশপে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সিটি করপোরেশন থেকে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি মূল্য তারা রাখছিল। কোথাও কোথাও মূল্য তালিকা টাঙানোও ছিল না। অভিযানকালে ভ্রাম্যমাণ ফরেনসিক ল্যাবের মাধ্যমে ফরমালিন পরীক্ষা করা হয়। তবে উৎপাদন থেকে চাহিদা বেশি থাকায় মূল্য বেশি রাখা হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা। সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর ছাড়াও কাপ্তানবাজার এবং যাত্রাবাড়ীর ধলপুরে অভিযান চালানো হয়। কাপ্তানবাজারের অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উদয়ন দেওয়ান। এ সময় কাজী আলাউদ্দিন রোড ও টিপু সুলতান রোডে অভিযান চালিয়ে তোফায়েলের মাংসের দোকান ও বাদশা মিয়ার মাংসের দোকানসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আর ধলপুরের অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল হক। এখানে সায়েদাবাদ বাস স্ট্যান্ড এলাকার তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এদিকে ভেজাল বিরোধী পৃথক অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। বেশি দামে গরুর মাংস বিক্রি ও মূল্য তালিকা না থাকায় ঢাকা কেরানীগঞ্জের জিনজিরার ও কালীগঞ্জে মোট ১১ মাংস ব্যবসায়ীকে জরিমানা করে সংস্থাটি। এ সময় অভিযান পরিচালনা করেন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার ম-ল এবং ইন্দ্রানী রায়। যেসব প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয় সেগুলো হলো- জিনজিরার বাবুলের গোশতের দোকান, চান মিয়ার গোশতের দোকান, করিমের গোশতের দোকান, রিপনের গোশতের দোকান, কামাল মিয়ার মাংসের দোকান, মোক্তার হোসেনের গোশতের দোকান, সাত্তারের গোশতের দোকান, মোহর আলীর গোশতের দোকান। প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া কালীগঞ্জ বাজারে অবস্থিত মায়ের দোয়া গোশতের দোকান, গাউসুল আজম মাইজভা ারী গরুর গোশতের দোকান ও বিসমিল্লাহ গোশতের দোকানকে ১০ হাজার টাকা করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার ম-ল বলেন, এখানে বেশিরভাগ দোকানে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া অনেকে আইন অনুযায়ী মূল্য তালিকা টাঙায়নি। এসব অভিযোগে ১১টি মাংস বিক্রির প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।

সর্বশেষ খবর