শনিবার, ১১ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

মোবাইল ফোনে বুকিং দিলেই গাঁজা সাপ্লাই

জুবায়ের মাহমুদ, শাবি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের পেছনের সরু রাস্তাটা চলে গেছে পাশের টিলারগাঁও হয়ে বড়গুলের দিকে। সেই রাস্তা ধরে কিছুটা সামনে এগোলেই দেখা যাবে ‘টিলা কাটা দ নীয় অপরাধ’ লেখা সাইনবোর্ড। বিকালে নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করে গাঁজা বুকিং দিয়ে সে জায়গায় গেলেই পাওয়া যাবে মাদক ব্যবসায়ী আফরোজকে। চার মাস আগে নগরের টিলারগাঁওয়ের গাঁজা বিক্রেতা চক্রের মূল হোতা সোয়াব আলী বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডির হাতে আটক হন। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাদক সেবনের হার অনেক কমে যায়। ফাঁকা মার্কেটে গাঁজার জোগানদাতা হিসেবে তখন আবির্ভূত হন মাদক ব্যবসায়ী আফরোজ।

 আফরোজ তার আসল নাম কিনা এ ব্যাপারে সন্দেহ থাকলেও মাদকসেবী শিক্ষার্থীদের কাছে তিনি ‘আফরোজ’ নামেই পরিচিত।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানায় প্রবেশ না করেও মাদকসেবী শিক্ষার্থীদের অবাধে গাঁজা সাপ্লাই করে চলেছেন আফরোজ। মাদকসেবী বেশির ভাগ শিক্ষার্থী টিলারগাঁওয়ের দিলারা হান্নান হলের পেছন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নিউজিল্যান্ড’ নামক টিলায় গিয়ে আফরোজের কাছ থেকে গাঁজা কেনেন। প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে গাঁজার বুকিং নিয়ে তা বিক্রি করেন তিনি। মাঝে মাঝে বিকাল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্তও চলে এ বেচাকেনা। পরে তার সেলফোনের নির্দিষ্ট নম্বরটি বন্ধ করে দেন।

প্রথম দিকে নিজে সেবনের জন্য কম দামে বিভিন্ন জায়গা থেকে গাঁজা কিনতেন। পরে তা অতিরিক্ত লাভে বিক্রি করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছে। কয়েক মাস আগেও প্রতি সাড়ে ১২ গ্রাম গাঁজার দাম ১৫০ টাকা করে রাখতেন তিনি। তবে দিন দিন তার চাহিদা বাড়লে বর্তমানে সেই একই পরিমাণ গাঁজার দাম রাখেন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানান, আফরোজের প্রধান টার্গেট আবাসিক হলের ছাত্ররা। প্রথম দিকে কিছু শিক্ষার্থীর কাছে কম দামে গাঁজা বিক্রি করে তিনি একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করেন। পরে ওই শিক্ষার্থীদের মাধ্যমেই আফরোজের সন্ধান পান অন্য মাদকসেবী শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে হলের বাইরে বসবাসরত শিক্ষার্থীরাও গাঁজা খাওয়ার জন্য হলে এসে অবস্থান করেন।

সর্বশেষ খবর