শনিবার, ১৮ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

হঠাৎ খুলনা আওয়ামী লীগে চাঞ্চল্য

আজ মহানগরের বিশেষ বর্ধিত সভা আগামীকাল জেলায়

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

হঠাৎ খুলনা আওয়ামী লীগে চাঞ্চল্য

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের ৩১টি ওয়ার্ড কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে অনেক আগেই। দীর্ঘদিন ধরে সাংগঠনিক অনুমোদন দেওয়া হয়নি থানা কমিটির। ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না করায় দলের মধ্যে ছিল হতাশা। তবে ‘দিবস কেন্দ্রিক’ ঘুরপাক খাওয়া দলটিতে অবশেষে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।

খুলনা মহানগরের কয়েকটি থানা কমিটিকে এরই মধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ডে সদস্য সংগ্রহ টিকিট বিতরণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি আজ দুপুরে খুলনা ইউনাইটেড ক্লাবে মহানগর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সভায় যেসব সাংগঠনিক ইউনিটের মেয়াদ শেষ হয়েছে, দ্রুত সেসব কমিটি করার নির্দেশনা দেওয়া হবে। একইভাবে আগামীকাল জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলা সভাপতির অনুমোদন বিহীন ৮টি উপজেলা কমিটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জানা যায়, তৃণমূলে সংগঠনকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে এবং মহানগর ও জেলা সম্মেলন যথাসময়ে সম্পন্ন করতে এ বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগের সভাপতিম লীর সদস্য অ্যাডভোকেট পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্রাতুষ্পুত্র ও বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান উপস্থিত থাকবেন। এদিকে বর্ধিত সভা সফল করতে দফায় দফায় আলোচনা ও প্রস্তুতি সভা করেছে আওয়ামী লীগ। দলের মহানগর সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, তৃণমূলে কোন্দল মিটিয়ে খুলনায় দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার কাজ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে সম্মেলনের মাধ্যমে দক্ষ ও মেধাবী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায় নীতিনির্ধারকরা।

জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর সার্কিট হাউস মাঠে খুলনা মহানগর কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

কিন্তু অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনগুলো কয়েক ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়ে। ত্যাগী নেতা-কর্মীর মূল্যায়ন না করা, দলে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে ক্ষোভ, শীর্ষ নেতাদের বিতর্কিত কর্মকা  ও ব্যবসায়িক মনোভাবে সাংগঠনিক স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।

মহানগর আওয়ামী লীগ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, বিশেষ বর্ধিত সভাকে ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। এতে মহানগর, থানা, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং মহানগর পর্যায়ের সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক এবং দলের সব কাউন্সিলরকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তে ৮টি উপজেলা কমিটি গঠন করা হলেও তাতে জেলা সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদের অনুমোদন নেই। বর্ধিত সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একই সঙ্গে সভায় দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর