শনিবার, ১৮ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

কেনাকাটায় ক্রেতার আস্থা বসুন্ধরা সিটি শপিং মল

জিন্নাতুন নূর

কেনাকাটায় ক্রেতার আস্থা বসুন্ধরা সিটি শপিং মল

বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের অভ্যন্তরে শোভা পাচ্ছে র‌্যাফেল ড্র’র পুরস্কার গাড়িসহ অন্য উপহার সামগ্রী -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দুপুরের তপ্ত রোদ থেকে রাজধানীর পান্থপথের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের ভিতর প্রবেশ করেই  হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন রাজীব আহমেদ ও তার পরিবার। ছুটির দিনে গতকালই প্রথম পরিবারকে নিয়ে ঈদের শপিং করতে বের হয়েছিলেন রাজীব। কথা হলে রাজীব বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ঈদের বাকি আরও দুই সপ্তাহের বেশি। কিন্তু বাচ্চার মন রাখতে ঈদের শপিংয়ের জন্য এই গরমে বের হয়েছি। যেহেতু বসুন্ধরা সিটি শপিং মলটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং এখানে এক ছাদের নিচেই সব নামি-দামি দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের পণ্য পাওয়া যায় এজন্য আমরা অন্য কোথাও আর যাওয়ার প্রয়োজন অনুভব করিনি। রাজধানীর ঈদের বাজার এতদিন সে অর্থে জমে না উঠলেও গতকাল ছুটির দিনে নগরবাসী ঈদের কেনাকাটা করতে সকাল থেকেই বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে ভিড় জমান। সরেজমিন এই শপিং মল ঘুরে এখানকার প্রতিটি লেভেলেই এদিন ক্রেতাদের ভালো উপস্থিতি চোখে পড়ে। এই শপিং মলের লেভেল-২-এ বিক্রি হয় ছেলেদের পাঞ্জাবি ও শার্ট-প্যান্ট। এর মধ্যে ‘লুবনান’ নামক পাঞ্জাবির দোকানটি সব বয়সী ছেলে, মধ্যবয়সী ও বয়স্ক ক্রেতাদের কাছে পছন্দের একটি দোকান। একটি বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা সাগর সরোয়ার বলেন, ঈদে ভারি কাজের পাঞ্জাবি পরতে পছন্দ করি। আর প্রতি ঈদে নিজের জন্য এবং আমার বাবার জন্য লুবনান থেকে পছন্দ করে পাঞ্জাবি কিনি। তবে ঈদে এবার গরম পড়ায় লুবনান তার ক্রেতাদের জন্য হালকা ও সুতি কাপড়ের তৈরি পাঞ্জাবি বেশি নিয়ে এসেছে। পাঞ্জাবিগুলোর দাম ১৮০০ থেকে শুরু করে প্রায় ১৩ হাজার টাকা। শপিং মলটির লেভেল-৩-এ মেয়েদের সালোয়ার-কামিজ বিক্রি হচ্ছে। গরমে এবার হালকা-পাতলা সুতি ও জর্জেট কাপড়ের চাহিদা বেশি। এর পাশাপাশি ভারি কাজের ‘সারারা’ ও ‘ঘারারা’ নামের সালোয়ার-কামিজ দুটোর চাহিদাও ভালো বলে জানান বিক্রেতারা। সাধারণত ভারতীয় এসব পোশাকে জর্জেট কাপড়ের ওপর ভারি এমব্রয়ডারি কাজ, সিকোয়েন্স, জরি ও স্টোনের কাজ ব্যবহার করা হয়েছে। এর দাম সাড়ে তিন হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা। এর বাইরে পানচু গাউন, কটি ড্রেসগুলোও এবার ঈদের জন্য আনা হয়েছে বলে বিক্রেতারা জানান। ৪র্থ তলায় আছে শাড়ির দোকান। শাড়ি বিক্রেতারা জানান, এবার ঐতিহ্যবাহী কাতান শাড়ির প্রতি ক্রেতাদের ঝোঁক বেশি। এ ছাড়া লেহেঙ্গা স্টাইলের শাড়ির প্রতিও ক্রেতাদের আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আরও আছে নেটের শাড়ির ওপর ভারি স্টোনের কাজ। এর সঙ্গে সব ধরনের অনুষ্ঠানে পরার জন্য জামদানি শাড়িরও চাহিদা ভালো। এর মধ্যে ‘ব্লু’ নামক দোকানটিতে থাইল্যান্ড, কোরিয়া থেকে ঈদ উপলক্ষে পার্টি গ্রাউন আনা হয়েছে। স্লিভলেস ও ফুলস্লিভ উভয় ধরনের গাউনগুলোতে ভারি স্টোন ও সিকোয়েন্সের কাজ করা হয়েছে। এগুলোর দাম তিন হাজার থেকে সাত হাজার টাকা। এর বাইরে তরুণ-তরুণী উভয়ের জন্য এই মার্কেটে আরও বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের দোকান রয়েছে। এগুলো হলোÑ এক্সটেসি, ইনফিনিটি, স্মার্টেক্স ইত্যাদি। এখানে ছেলেমেয়েদের সালোয়ার-কামিজ ফতুয়া ছাড়াও পাশ্চাত্য ঘরানার মেয়েদের পার্টি ড্রেস, প্যান্ট ও ছেলেদের শার্ট, টি-শার্ট , জুতা ও এক্সসেসরিজ পাওয়া যাচ্ছে। ঢাকাবাসীর জনপ্রিয় দেশীয় ব্র্যান্ড ‘আড়ং’ এখন বসুন্ধরা শপিং মলের লেভেল-৪ এ অবস্থিত। আড়ং-এর শো-রুমটি ঘুরে দেখা যায়, ঈদ উপলক্ষে তারা তরুণীদের জন্য যে সালোয়ার-কামিজ নিয়ে এসেছে সেখানে সুতির তৈরি কাপড়ের প্রাধান্যই বেশি। ঈদ উপলক্ষে এবারও র‌্যাফেল ড্রর ব্যবস্থা করেছে বসুন্ধরা সিটি শপিং মল কর্তৃপক্ষ। এজন্য বিজয়ীর জন্য প্রথম পুরস্কার হিসেবে ব্র্যান্ড নিউ গাড়ি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর সঙ্গে আরও আছে মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, এসিসহ আকর্ষণীয় সব পুরস্কার। একজন ক্রেতা ২০০ টাকার কেনাকাটা করলেই এই র‌্যাফেল ড্রতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।

সর্বশেষ খবর